ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

বৃষ্টি-জলাবদ্ধতায় বেহাল চট্টগ্রামের সড়ক ব্যবস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:২৯, ৩০ আগস্ট ২০২০   আপডেট: ০৪:৩৩, ৩১ আগস্ট ২০২০
বৃষ্টি-জলাবদ্ধতায় বেহাল চট্টগ্রামের সড়ক ব্যবস্থা

বৃষ্টি, জলাবদ্ধতা আর নানামুখী সংস্কার-উন্নয়ন কাজের জন্য চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় সড়ক যোগাযোগ বিপর্যস্ত হয়ে বেশ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে নগরবাসী। বিশেষ করে চট্টগ্রাম নগরীর পোর্ট কানেক্টিং রোড, চান্দগাঁও, হালিশহরের বিভিন্ন এলাকা সড়কগুলো খনা-খন্দরে চলাচলের অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে। সড়কের গর্তে পড়ে গিয়ে প্রায় প্রতিদিনিই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন এবং সাধারণ মানুষ। 

এদিকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নব-নিযুক্ত প্রশাসক দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই সড়ক সংস্কারকে গুরুত্ব দিয়ে নিজে মাঠে থেকে কাজ করছেন জনদুর্ভোগ লাগবে।

সরেজমিন চট্টগ্রাম নগরীর পোর্ট কানেক্টিং রোড, হালিশহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, এসব সড়কে জনদুর্ভোগের শেষ নেই। সামান্য বৃষ্টি হলেই যেমন হাঁটু বা কোমর সমান পানি জমে, আবার বৃষ্টি ছাড়াও বড় বড় গর্তে সড়কের বিভিন্ন অংশ ডোবায় পরিণত হয়। এমন পরিস্থিতি এসব সড়কে যানবাহন চলাচল করতে গিয়ে প্রায় দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান উল্টেপড়াসহ মাঝ রাস্তায় বড় গাড়ি গভীর খাদে দেবে যাওয়ারও ঘটনা ঘটে এসব সড়কে।

চট্টগ্রাম নগরীর বেশ কিছু সড়কের দুরাবস্থা ও নগরবাসীর দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন রোববার রাইজিংবিডিকে জানান, বন্দর নগরীর লাইফ লাইন খ্যাত পোর্ট কানেকটিং রোড থেকে বন্দর পর্যন্ত সড়ককগুলোতে দুর্ভোগ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে। 

এ সড়কগুলো দ্রুত সংস্কার শেষ করে জনদুর্ভোগ লাগবে নিজে মাঠে থেকে কাজ করার কথা জানিয়ে প্রশাসক বলেন, চসিকের প্রকৌশলী ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের নিয়োজিত লোকবল নিয়ে আমরা রাতদিন কাজ করছি। দ্রুততম সময়ের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলোকে চলাচলের উপযোগী করে তোলার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, আমার দায়িত্ব পালনকালীন পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষণ জনদুর্ভোগ লাঘবে নগরবাসীর পাশে থাকতে চাই। 

সড়ক যোগাযোগে নগরবাসীর দুর্ভোগের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, চট্টগ্রামের অধিকাংশ সড়কই বিধ্বস্ত রূপ নেওয়ার প্রধান কারণ হলো চট্টগ্রাম নগরীতে যেসব সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত সেবা সংস্থা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে তাদের মধ্যে সমন্বয়হীনতার অভাব।

তিনি বলেন, দেখা গেছে- ওয়াসা, গ্যাস, সিডি, বিটিসিএল সহ অন্যান্য সেবাসংস্থাগুলো তাদের প্রকল্প কখন শুরু করবেন এবং কখন শেষ করবেন সে ব্যাপারে কোনো সুনির্দিষ্ট কর্মপন্থা নেই। এও দেখা গেছে যে, নির্ধারিত স্থানে একটি প্রকল্পের কাজ চলাকালীন একই স্থানে আরেকটি পৃথক প্রকল্পের কাজ শুরু করে দেওয়া হয়েছে। তাদের এ অপরিকল্পিত কর্মপন্থা কখনো সিটি করপোরেশনের বোধগম্য হয়ে উঠেনি। আমরা একটি সড়কের সংস্কার বা মেরামতি কাজ শেষ করার পর পরই ওয়াসাসহ অন্যান্য সেবা সংস্থাগুলো রাস্তা খোঁড়াখুড়ি শুরু করে। এ কারণে আর্থিক অপচয়ের পাশাপাশি জনদুর্ভোগও সৃষ্টি হচ্ছে। এজন্য দোষারপ করা হচ্ছে সিটি করপোরেশনকে। যেহেতু চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন একটি নির্বাচিত কর্মপরিষদের দ্বারা পরিচালিত, সেহেতু জবাবদিহিতার বিষয়টিও তাদের ওর বর্তায়। তাই আমি চেষ্টা করছি নগরে সেবাদান প্রতিষ্ঠানসমূহের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে, যাতে নগরীর ভোগান্তি কমে।

রেজাউল/এসএম

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়