রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবে সরেনি পুরান ঢাকার রাসায়নিক গুদাম: টিআইবি
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান
রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব ও প্রভাবশালীদের অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে পুরান ঢাকা থেকে রাসায়নিক ও দাহ্য পদার্থের গুদাম, কারখানা ও ব্যবসা সরেনি বলে দাবি করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) ‘নিমতলী, চুড়িহাট্টা এবং অতঃপর: পুরনো ঢাকার অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিতে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ এবং করণীয়’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে এমন দাবি করে সংস্থাটি।
টিআইবির গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুরান ঢাকা থেকে রাসায়নিক গুদাম সরিয়ে নেওয়ার আশ্বাস এখন পর্যন্ত রাজনৈতিক সদিচ্ছার ঘাটতির কারণে বাস্তবের মুখ দেখতে ব্যর্থ। কতিপয় প্রভাবশালীর অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে রাসায়নিক ও দাহ্য পদার্থের গুদাম, কারখানা ও ব্যবসা টিকিয়ে রাখা হয়েছে। দ্রুত অগ্নিনির্বাপণের জন্য পুরান ঢাকায় প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি হয়নি। গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত সবগুলো নির্দেশকের ক্ষেত্রেই সুশাসনের ঘাটতি ছিল। এ কারণে নিমতলী অগ্নিকাণ্ডের মতো দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। সরকার ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনা প্রতিপালন না করার পাশাপাশি আদালত অবমাননাও করেছে।
এ বিষয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, ‘সার্বিকভাবে অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে অংশগ্রহণ ও সমন্বিত কার্যক্রমের উদ্যোগ না থাকলে নিমতলী ও চুড়িহাট্টা অগ্নিকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি অবশ্যম্ভাবী।’
টিআইবির গবেষণা প্রতিবেদনের বলা হয়েছে, ‘স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ ও জনপ্রতিনিধিরা কারখানা ও গুদামের মালিক বা এসব ব্যবসায় জড়িত। এছাড়া, এই ব্যবসার সুবিধাভোগী হিসেবে আছেন কিছু কিছু বাড়ির মালিক, ব্যবসায়ী সমিতি, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার একাংশ এবং অনেক বড় বড় কোম্পানি, যারা পুরান ঢাকা থেকে প্লাস্টিক পণ্য, কাঁচামাল ইত্যাদি নিয়ে ব্যবসা করেন। তাদের পক্ষ থেকেও বাধা দেওয়া হয়। অনেক মার্কেটের মালিক রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের মার্কেটে থাকা রাসায়নিক গুদাম সরাতে কোনো কর্তৃপক্ষই সাহস পায় না।’
টিআইবির গবেষণা ও পলিসি বিভাগের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো. মোস্তফা কামাল ও সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার আবু সাঈদ মো. জুয়েল মিয়ার নেতৃত্বে গবেষণা প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
ঢাকা/এম এ রহমান/রফিক
আরো পড়ুন