ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

‘তুলা উৎপাদনে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার’

সচিবালয় প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৪১, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০  
‘তুলা উৎপাদনে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার’

তুলা ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক

‘তুলা উৎপাদনের ওপর সরকার অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে। তুলা উন্নয়ন বোর্ডকে শক্তিশালী করা হচ্ছে। ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন, ল্যাবরেটরি ও যন্ত্রপাতি স্থাপন এবং দক্ষ জনবল নিয়োগ করা হচ্ছে, যাতে বাংলাদেশের আবহাওয়ার উপযোগী নতুন জাত উদ্ভাবন করে তুলা উৎপাদন ত্বরান্বিত ও লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা যায়।’

শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর খামারবাড়িতে তুলা উন্নয়ন বোর্ড ভবনে ‘তুলা ভবন’ এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে এসব কথা বলেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান। সভাপতিত্ব করেন তুলা উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক মো. ফরিদ উদ্দিন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘সারা বিশ্বেই তুলা অত্যন্ত অর্থকরী ফসল। বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ৮০-৮৬ লাখ বেল তুলা আমদানি করতে হয়। দেশে তুলা উৎপাদন হয় মাত্র ২ লাখ বেলের মতো। আগে ১ লাখ বেলের নিচে উৎপাদন হতো। সম্প্রতি তুলা উন্নয়ন বোর্ডের হাইব্রিড জাত উদ্ভাবনের ফলে তুলা উৎপাদন দিন দিন বাড়ছে।’

তিনি বলেন, ‘বিপুল পরিমাণ তুলা আমদানিতে বছরে ২৪ থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়। যদিও আমদানিকৃত তুলা ভ্যালু অ্যাডের মাধ্যমে সুতা ও কাপড়ের আকারে বিদেশে রপ্তানি হয়ে থাকে। এসব তুলা এ দেশে উৎপাদন করতে পারলে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করা সম্ভব।‘

দেশে প্রায় ৭৪ ভাগ জমিতে ধানের আবাদ হয়, এ কথা উল্লেখ করে ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘এ দেশের কৃষি মূলত ধানকেন্দ্রিক। ইদানিং চালের কনজাম্পশন কমে যাচ্ছে। এটি অব্যাহত থাকলে অনেক জমি খালি থাকবে। সেখানে শাকসবজি, ফলমূল ও তুলার মতো অর্থকরী ফসল উৎপাদন করা যাবে। সে লক্ষ্যেই তুলা উন্নয়ন বোর্ডকে শক্তিশালী করা হচ্ছে।’

কৃষিমন্ত্রী জানান, চলতি ২০১৯-২০ মৌসুমে ৪৪ হাজার হেক্টর জমিতে তুলা চাষ হয়েছে। উৎপাদন হয়েছে ১ লাখ ৭৭ হাজার বেল আঁশতুলা। খাদ্য উৎপাদনে বিঘ্ন না ঘটিয়ে তুলা চাষ সম্প্রসারণ করছে তুলা উন্নয়ন বোর্ড।

ঢাকা/আসাদ/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়