ডিএসসিসির অভিযানে ১৩ মামলা-জরিমানা

ক্যাবল অপসারণ ও স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে ব্যবসা পরিচালনা করায় ১টি রেস্টুরেন্টে জরিমানা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।  

বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) নিয়মিত উচ্ছেদ কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ ধানমন্ডি ২ ও ৩ নং রোডে অবৈধ ক্যাবল সংযোগ অপসারণ করেন। 

পাশাপাশি ইরফান উদ্দিন আহমদের নেতৃত্বাধীন আদালত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে ট্রেড লাইসেন্স না থাকায় অথবা ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন না করায় মোট আটটি দোকানকে ৪৩ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন। 

এছাড়াও ৪ নং রোড সংলগ্ন আড্ডা রেস্টুরেন্ট পরিদর্শন করে তাদের রান্নাঘর অপরিচ্ছন্ন পাওয়া যায়। স্টাফরা মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস না পরেই ব্যবসা পরিচালনা করছিলেন। এসব অপরাধে প্রতিষ্ঠানটিকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী ৪০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন।

ডিএসসিসির সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামান মৎস্য ভবন থেকে শুরু করে সেগুনবাগিচার ১০ নম্বর কর অফিস পর্যন্ত অবৈধ ক্যাবল অপসারণে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় আদালত ১১টি ইলেকট্রিক পোল থেকে অবৈধ ক্যাবল অপসারণ করেন।

এদিকে করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মোহাম্মদ ফয়সাল এর নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত অঞ্চল-১ এর ২০ নম্বর ওয়ার্ডের সেগুনবাগিচা এলাকায় মশার প্রজননস্থল চিহ্নিত করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় তিনি ২৭টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ১টি স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় মামলা দায়ের ও নগদ ১৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।

একইসঙ্গে ডিএসইসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফেরদৌস ওয়াহিদের নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত এডিস মশার প্রজননস্থল শনাক্ত করতে অঞ্চল-৪ এর ধোলাইখাল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় তিনি ৪০টি স্থাপনা পরিদর্শন করেন এবং ১টি স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় মামলা দায়ের ও নগদ ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।

সব মিলিয়ে করপোরেশনের ৪টি ভ্রাম্যমাণ আদালত ১ লাখ ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় ও ১৩টি মামলা দায়ের করেন।