ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

‘পর্যটনে প্রধানমন্ত্রীর পদক্ষেপ কাজে লাগবে গ্রাম উন্নয়নে’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:২৫, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০  
‘পর্যটনে প্রধানমন্ত্রীর পদক্ষেপ কাজে লাগবে গ্রাম উন্নয়নে’

গ্রামীণ জনগণের জীবনমান উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহীত পদক্ষেপ বাস্তবায়নে পর্যটন সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো.মাহবুব আলী।

রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত অনলাইন আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। ‘গ্রামীন উন্নয়নে পর্যটন’ প্রতিপাদ্য নিয়ে আজ সারা বিশ্বে বিশ্ব পর্যটন দিবস পালিত হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা গ্রাম উন্নয়নে ইতিমধ্যে অনেক যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছেন। গ্রামীণ মানুষের জীবনমানের উন্নয়নে তিনি নিরন্তর কাজ করে চলেছেন। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে গৃহহীনদের ঘর তৈরি করে দিচ্ছেন। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির মাধ্যমে গ্রামের অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তার উদ্যোগের ফলেই এখন গ্রামে শহরের সমস্ত নাগরিক সুবিধা পৌঁছে যাচ্ছে। আমাদের প্রতিটি গ্রামে এখন উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা,ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, এলপি গ্যাস ও উচ্চগতির ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আর্থিক সক্ষমতার উন্নয়নের কারণে গ্রামীণ নারীর ক্ষমতায়ন সম্ভব হয়েছে। গ্রামীণ পর্যটন উন্নয়নের মাধ্যমে গ্রামের মানুষের জন্য এই সুবিধাগুলো আরও সম্প্রসারিত করা সম্ভব হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, গ্রামীণ পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করে গ্রামীণ পর্যটনের উন্নয়নে কাজ করা হচ্ছে। গ্রামীণ জীবনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে গ্রামীণ পর্যটনের উন্নয়নে কমিউনিটি বেজড পর্যটন প্রসারের জন্য কাজ চলমান রয়েছে। গ্রামের প্রান্তিক জনগণকে পর্যটনের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে এবং পর্যটনের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরিতে তাদের ভূমিকা নিশ্চিত করতে প্রতিনিয়ত কাজ করছি। 

মাহবুব আলী বলেন, বাংলাদেশের পর্যটন পণ্যের সম্ভাবনা অনেক। বাংলাদেশের সৌন্দর্যের আধার গ্রাম অঞ্চলেই আমাদের অধিকাংশ পর্যটন আকর্ষণ অবস্থিত। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের এই সৌন্দর্যকে পৃথিবীর কাছে তুলে ধরার জন্যই ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। পরে  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১০ সালে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড গঠন করেন। এখন সময় এসেছে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সেই সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে বাস্তবতায় রূপ দেওয়ার। আমাদের পর্যটন পণ্যগুলো উপযুক্ত ব্র্যান্ডিং করে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরার। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে পর্যটন যাতে সহায়ক শক্তি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন  ও বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড পর্যটনের উন্নয়নে ভালো কাজ করছে তবে আরও  বেশি মনোযোগ দিয়ে কাজ করতে হবে। পর্যটনের জন্য বিশেষ অঞ্চল গড়ে তোলার জন্য কাজ করতে হবে। গ্রাম বাংলার আবহমান সংস্কৃতিকে ক্ষতিগ্রস্ত না করে গ্রামীণ পর্যটনের বিকাশ নিশ্চিত করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো.মহিবুল হক বলেন,পর্যটনের অপার সম্ভাবনার দেশ হলেও আমরা আমাদের পর্যটন পণ্যকে এখনো বিশ্ববাসীর সামনে যথাযথভাবে তুলে ধরতে পারিনি। যে কারণে জিডিপিতে আমাদের পর্যটন শিল্পের অবদান এখনো পর্যন্ত কম রয়েছে। পর্যটনের উন্নয়নে আমরা এখন আন্তরিকভাবে কাজ শুরু করেছি। পর্যটনশিল্পের সহায়ক পরিবেশ তৈরি করার জন্য চেষ্টা করছি। দেশের সব পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের জন্য নানা সুবিধা প্রবর্তনের কাজ করছি।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাবেদ আহমেদ, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান রাম চন্দ্র দাস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ট্যুরিজম অ‌্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া, টোয়াব এর সভাপতি মোহাম্মদ রাফিউজ্জামান প্রমুখ।

হাসান/সাইফ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়