‘তথ্য অধিকার সংকটে হাতিয়ার’
নিউজ ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম
বিশ্ব তথ্য অধিকার দিবস আজ। এবছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘তথ্য অধিকার সংকটে হাতিয়ার’।
তথ্যের সার্বজনীন অধিকারে দিবসটি প্রতিবছর ২৮ সেপ্টেম্বর দিবসটি পালিত হচ্ছে। ইউনেস্কোর সাধারণ সম্মেলনে স্বীকৃতি পাওয়ার পর দিবসটি ২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে উদ্বোধন করা হয়েছিল এবং ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ এ প্রথম পালিত হয়েছিল।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।
বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, তথ্য প্রাপ্তি ও জানা মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার। তথ্য মানুষকে সচেতন করে এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে। তথ্যের অবাধ প্রবাহ ও দেশের জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিতের জন্যই প্রণীত হয়েছে ‘তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯’। এ আইন আবশ্যিকভাবে তথ্য প্রাপ্তিতে জনগণকে আইনি ভিত্তি দিয়েছে। এর ফলে সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও সংবিধিবদ্ধ এবং সরকারি ও বিদেশি অর্থায়নে সৃষ্ট বা পরিচালিত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতার পাশাপাশি দুর্নীতিমুক্ত পরিবেশে দায়িত্ব পালন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার পথ রচিত হয়েছে।
দেয়া বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা জনগণের ক্ষমতায়ন ও সন্তুষ্টির জন্য ‘তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯’ পাস এবং তথ্য কমিশন গঠন করেছি। ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আমরাই প্রথম দেশে বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চালুর অনুমোদন দেই। বর্তমানে ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’ সফলতার সঙ্গে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তথ্যের অবাধ প্রবাহকে আরো বিস্তৃত করতে আমরা সরকারি টেলিভিশনের পাশাপাশি ৪৫টি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল, ২৮টি এফএম বেতার কেন্দ্র এবং ৩২টি কমিউনিটি রেডিও সম্প্রচারের অনুমতি দিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন ভিডিও কনফারেন্সিং এবং জুম অ্যাপসের মাধ্যমে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করে তথ্য আদান প্রদান করা হচ্ছে। জনগণের তথ্যে অবাধ প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার প্রয়াসে সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের ৬৬৮৬টি ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। ফলে তথ্য সেবা তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে।
করোনা পরিস্থিতিতে তথ্য কমিশনের উদ্যোগে ঢাকাসহ দেশব্যাপী আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস-২০২০ উদযাপনের লক্ষ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এবার তথ্য অধিকার সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে দিবসটি উদযাপনের আওতা বাড়িয়ে বিভাগীয় পর্যায় এবং পিডিসি ও ইউডিসিসমূহকে সংযুক্ত করে উপজেলা পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকায় আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টায় তথ্য কমিশনের উদ্যোগে আগারগাঁওয়ে প্রত্নতত্ত্ব ভবনের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি থাকবেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান ও তথ্য সচিব কামরুন নাহার উপস্থিত থাকবেন।
সভায় সভাপতিত্ব করবেন প্রধান তথ্য কমিশনার মরতুজা আহমদ। এছাড়া সভায় উপস্থিত থাকবেন তথ্য কমিশনার সুরাইয়া বেগম, তথ্য কমিশনার ড. আবদুল মালেক ও তথ্য কমিশনের সচিব সুদত্ত চাকমা।
ঢাকা/টিপু
আরো পড়ুন