শেখ হাসিনার লক্ষ্য ন্যায়-জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা: তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ন্যায়-সমতা ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কাজ করছে।

সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস উদযাপন উপলক্ষে সন্ধ্যায় রাজধানীতে তথ্য কমিশন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। 

আগারগাঁওয়ে প্রত্নতত্ত্ব ভবনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান তথ্য কমিশনার মরতুজা আহমদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান ও তথ্যসচিব কামরুন নাহার। বিশ্বব্যাপী করোনা মাহামারি বিবেচনায় দিবসের এবছরের প্রতিপাদ্য ‘তথ্য অধিকার সংকটে হাতিয়ার’।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে জনগণের বিপুল ভোটে বিজয়ের মাধ্যমে দ্বিতীয়বার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে এসে শেখ হাসিনার সরকার প্রথমেই তথ্য অধিকার আইন ও মানবাধিকার কমিশন আইন প্রণয়ন করে। কারণ, শেখ হাসিনার সরকার বিশ্বাস করে, শুধু বস্তুগত বা ভৌত উন্নয়নই সামগ্রিক উন্নয়ন নয়, প্রয়োজন ন্যায়ভিত্তিক, সমতাভিত্তিক ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ নির্মাণ। ’ 

তথ্যসচিব কামরুন নাহার বলেন, দেশের জনগণের অধিকার রক্ষায় প্রণীত তথ্য অধিকার আইন দেশের উন্নয়নে এক অনন্য মাইলফলক হিসেবে প্রমাণিত।

সভাপতির বক্তব্যে প্রধান তথ্য কমিশনার মরতুজা আহমদ বলেন, সংকটকালে ঠিক ও সময়োচিত তথ্যে নাগরিকের প্রবেশাধিকার সংকট উত্তরণের বড় হাতিয়ার। এতে যেমন জনসচেতনতা বাড়ে, তেমনি কর্তৃপক্ষের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও দায়িত্বশীলতাও বাড়ে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক মুখ্য আলোচকের বক্তব্য, তথ্য কমিশনার সুরাইয়া বেগম মূল প্রবন্ধ এবং তথ্য কমিশনার ড. আবদুল মালেক দিবসটির ওপর বক্তব্য দেন। তথ্য অধিকার চর্চা পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীন।

প্রধান তথ্য অফিসার সুরথ কুমার সরকার, দি কার্টার সেন্টারের বাংলাদেশ চিফ অব পার্টি সুমনা সুলতানা মাহমুদ প্রমুখের উপস্থিতিতে তথ্য কমিশনের সচিব সুদত্ত চাকমা স্বাগত বক্তব্য ও এমআরডিআইয়ের নির্বাহী পরিচালক হাসিবুর রহমান মুকুল আলোচনায় অংশ নেন।

সভাশেষে তথ্যমন্ত্রী তথ্য অধিকার আইন চর্চায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় এবছর ছয় ক্যাটাগরিতে ১৩টি পুরস্কার বিজয়ীদের হাতে তুলে দেন।