ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

ভোলায় বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ দুই বছর বাড়ছে

কেএমএ হাসনাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:৩৩, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০   আপডেট: ১২:১৮, ৭ অক্টোবর ২০২০
ভোলায় বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ দুই বছর বাড়ছে

ভোলায় স্থাপিত বেসরকারি খাতের বিদ্যুৎ উৎপাদনকারি প্রতিষ্ঠান ভেঞ্চার এনার্জি রিসোর্স লিমিটেডের কাছ থেকে আরও দুই বছর বিদ্যুৎ কেনার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সরকার। প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে বিদ্যুৎ কিনতে মোট ১৪৭ দশমিক ৯৫২৮ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হবে।

সূত্র জানায়, ভোলায় ৩৪ দশমিক ৫০ মেগাওয়াট গ্যাস চালিত রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ বাড়ানো এবং ট্যারিফ অনুমোদন সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে। সরকারের পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্ল্যান-২০১৬ অনুযায়ী বাংলাদেশে আগামী ২০২১ সালে ২৪,০০০ মেগাওয়াট এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বাস্তবায়ন করতে আরও সময় লাগবে।

বেসরকারি খাতে জরুরি ভিত্তিতে ভোলায় ৩৪ দশমিক ৫০ মেগাওয়াট গ্যাস চালিত রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্য ভেঞ্চার এনার্জি রিসোর্স লিমিটেড এর সঙ্গে ২০০৮ সালের ১৬ জানুয়ারি ৩ বছর মেয়াদী চুক্তি হয়। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির কমার্শিয়াল অপারেশনের তারিখ (সিওডি) ছিল ২০০৯ সালের ১২ জুলাই। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির মেয়াদ ২০১২ সালের ১১ জুলাই শেষ হলে পরে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনে চুক্তির মেয়াদ ৩ বারে ৭ বছর অর্থাৎ ২০১৯ সালের ১১ জুলাই তারিখ পর্যন্ত বাড়ানো হয়। শেষ হয় ২০১৯ সালের ১১ জুলাই।

সূত্র জানায়, ভোলা অঞ্চলের বিদ্যুতের চাহিদা বিবেচনায় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সুপারিশে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি চালু রাখা হয়েছে। এছাড়া গ্যাস সরবরাহ অব্যাহত রাখার জন্য বিদ‌্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগকে ২০১৯ সালের আগস্ট অনুরোধ করা হলে গ্যাস সরবরাহ দেওয়া হয়।

স্পন্সর কোম্পানি তাদের বর্তমান চুক্তির মেয়াদ অলোচনা এবং মিউচুয়াল অ্যাগ্রিমেন্টের মাধ্যমে পাঁচ বছর বাড়ানোর জন্য ২০১৯ সালের ২ মার্চ সরকারের কাছে আবেদন করে। চুক্তি অনুযায়ী মিউচুয়াল অ্যাগ্রিমেন্ট না হলে চুক্তি বাতিল হয়ে যাবে। এ অবস্থায় উদ্যোক্তা সংস্থার আবেদনে অনুমোদন দেওয়ার জন্য ক্রয় কমিটির কাছে সুপারিশ করা হয়েছে।

সূত্র জানায়, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ঘাটতি নিরসনে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) (সংশোধিত) আইন, ২০১৮ প্রণয়ন করা হয়েছে। এই আইনের আওতায় বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের লক্ষ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করে জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুৎ কেনার জন্য কমিটি গঠন করা হয়। 

ভোলা অঞ্চলের বর্তমানে বিদ্যুতের সার্বিক চাহিদা প্রায় ৭৫ মেগাওয়াট। এর মধ্যে পটুয়াখালীর আংশিক চাহিদাসহ ভোলা সদর, বাংলাবাজার ও পরানগঞ্জের চাহিদা প্রায় ৩৫ মেগাওয়াট। যা ভেঞ্চার এনার্জি রিসোর্সেস লিমিটেড-এর স্থাপিত ভোলা ৩৪.৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতার গ্যাস বিদ্যুৎ কেন্দ্র তেকে সরবরাহ করা হয়। ইতোমধ্যে ভোলা অঞ্চলের চাহিদা অনুযায়ী জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যে পিজিসিবি ভোলাতে একটি ২৩০/৩৩ কেভি ১২০/১৪০ এমভিএ ট্রান্সফরমার স্থাপনের জন্য দরপত্র আহ্বান করেছে। 

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, পিজিসিবির ট্রান্সফরমার স্থাপনের কাজ আগামী ২০২১ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এ অবস্থা বিবেচনা করে ভেঞ্চার এনার্জি রিসোর্সেস লিমিটেড-এর কাছ থেকে আরও দুই বছর বিদ্যুৎ কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হতে পারে। 

হাসনাত/সাইফ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়