ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালকের মৃত্যুতে কৃষিমন্ত্রীর শোক

সচিবালয় প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৪৯, ১ অক্টোবর ২০২০   আপডেট: ১৭:৫৬, ১ অক্টোবর ২০২০
ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালকের মৃত্যুতে কৃষিমন্ত্রীর শোক

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) পরিচালক ও প্রখ্যাত ধানবিজ্ঞানী ড. তমাল লতা আদিত্যর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

বৃহস্পতিবার (০১ অক্টোবর) এক শোকবার্তায় কৃষিমন্ত্রী বলেন, এদেশের উপযোগী অনেকগুলো উন্নতজাতের ধানের উদ্ভাবন ও জনপ্রিয় করতে তার অসাধারণ অবদান রয়েছে। ধান গবেষণার মাধ্যমে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা অর্জন ও কৃষিক্ষেত্রে তার গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা এদেশের কৃষিবিদসহ সবার কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

কৃষিমন্ত্রী ড. তমাল লতার আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

অপর এক শোকবার্তায় ড. তমাল লতা আদিত্যর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন কৃষিসচিব মো. নাসিরুজ্জামান। সচিব প্রয়াতের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

ড. তমাল লতা আদিত্য বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর। তিনি স্বামী ও দুই পুত্রসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

ড. তমাল লতা আদিত্য ধান প্রজননবিদ হিসাবে অনেকগুলো ধানের জাত উদ্ভাবন, উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের কাজে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। বিশেষ করে ব্রি ধান ৫৭, ব্রি ধান ৫৮, ব্রি ধান ৬৩, ব্রি ধান ৭০, ব্রি ধান ৮০, ব্রি ধান ৮১, ব্রি ধান ৮২, ব্রি ধান ৮৮, ব্রি ধান ৯০ এবং ব্রি ধান ৯৫ ধানের জাতগুলো উদ্ভাবনে তিনি সরাসরি জড়িত ছিলেন। এছাড়াও ব্রি ধান ৪৬, ব্রি ধান ৪৯, ব্রি ধান ৫০, ব্রি ধান ৫৬, ব্রি ধান ৭১ ধানের জাতগুলো উদ্ভাবনে তার অবদান ছিল।

ড. তমাল লতা আদিত্য ১৯৬৭ সালে ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৯৪ সালে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পদে ব্রির উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগে যোগ দেন। পরে ২০১০ সালে মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি পান এবং ২০১৭ সালে পরিচালক গবেষণা (চলতি দায়িত্ব) পদে যোগ দেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি এ পদে কর্মরত ছিলেন।

ঢাকা/আসাদ/জেডআর

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়