ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

সংরক্ষিত বনাঞ্চলের জমি ইজারা দিতে তোড়জোড়, টিআইবির উদ্বেগ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:০৩, ৩ অক্টোবর ২০২০  
সংরক্ষিত বনাঞ্চলের জমি ইজারা দিতে তোড়জোড়, টিআইবির উদ্বেগ

শত বছর ধরে সংরক্ষিত মৌলভীবাজারের হারারগজ বনাঞ্চলের মধ্যবর্তী ভূমিকে ‘খাস জমি’ হিসেবে দেখিয়ে চা উৎপাদনকারী কোম্পানিকে ইজারা দেওয়ার তোড়জোড় চলছে। এতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

শনিবার (৩ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ উদ্বেগের কথা জানায় সংস্থাটি।

বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘শত বছরব্যাপী সংরক্ষিত বনাঞ্চল হিসেবে স্বীকৃত হওয়া সত্ত্বেও পরিবেশ ও প্রতিবেশের জন্য অপরিহার্য এরকম একটি বনাঞ্চলের ঠিক মধ্যবর্তী ভূমিকে ‘‘খাস জমি’’ হিসেবে চিহ্নিত করা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, যা খুবই উদ্বেগজনক। বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল হিসেবে পরিচিত বনটি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অথচ স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তাদের একাংশ প্রভাবশালী একটি মহলের সঙ্গে যোগসাজশ করে ডিজিটাল জরিপে ভূমির শ্রেণি পরিবর্তন করে ‘টিলা রকম’ ভূমি হিসেবে উল্লেখ করেছে। যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত দোষীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘বিতর্কিত ভূমি জরিপের ওপর নির্ভর করে মৌলভীবাজারের হারারগজ সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ঠিক মধ্যবর্তী ভূমিকে ‘‘খাস জমি’’ হিসেবে দেখিয়ে, একটি চা উৎপাদন কোম্পানিকে ইজারা দেওয়ার তোড়জোড় চলছে। স্থানীয় পর্যায়ের যেসব কর্মকর্তা উচ্চ পর্যায়ে ভুল বার্তা দিয়ে সংরক্ষিত বনাঞ্চলটি ধ্বংসের পাঁয়তারা করছে, তাদের জবাবদিহি নিশ্চিতের জোর দাবি জানাচ্ছি।’

ড. জামান আরও বলেন, ‘২০১৪ সালে ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের তৎকালীন মহপরিচালকের তদন্তের সুপারিশ অনুযায়ী, এই বনাঞ্চলের কোনো ভূমিই ইজারা দেওয়া যাবে না। তিনি এই ইচ্ছাকৃত ভুলের সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করে বিভাগীয় শাস্তি গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের যে নির্দেশনা দিয়েছিলেন, তা বাস্তবায়ন হলে বনাঞ্চলটি ধ্বংস হওয়ার যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, তা হতো না।’

ঢাকা/এম এ রহমান/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়