ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

ধর্ষণে প্রশ্রয়দাতাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে: কাদের

বিশেষ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৪২, ৫ অক্টোবর ২০২০   আপডেট: ০৮:১৭, ৬ অক্টোবর ২০২০
ধর্ষণে প্রশ্রয়দাতাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে: কাদের

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ধর্ষণে প্রশ্রয়দাতাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। কোনো অপরাধী রক্ষা পাবে না।

সোমবার (৫ অক্টোবর) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের কর্মকর্তা এবং দপ্তর প্রধানদের সঙ্গে উন্নয়ন কার্যক্রম পর্যালোচনা সভায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণ ও নারীর প্রতি সহিংসতার খবর পাওয়া যাচ্ছে। ধর্ষণ নিঃসন্দেহে একটি নিন্দনীয় অপরাধ এবং সামাজিক ব্যাধি। এ সব চরম ঘৃণিত কাজের সঙ্গে যারা জড়িত তারা বিকৃত রুচির অধিকারী। সরকার এ ধরনের প্রতিটি অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির বিধান করছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘এরপরও কোথাও না কোথাও অপরাধ ঘটছে। সম্প্রতি পার্শ্ববর্তী দেশে ধর্ষণের মতো ঘটনা তীব্র আকার ধারণ করেছে। এ ধরনের সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে দল-মত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’

‘সব ইস্যু নিয়ে রাজনীতি করার কোনো প্রয়োজন নেই। অন্তত এ ধরনের একটি ইস্যু নিয়ে আমরা রাজনৈতিক দলগুলো সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারি।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সমাজবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। দেশের সব নাগরিকের জন্য নিরাপদ চলাচল এবং নারীর প্রতি সহিংসতা ও নিন্দনীয় অপকর্ম রুখতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। অপরাধীদের প্রশ্রয় না দিয়ে আইনের আওতায় আনতে সহযোগিতা করুন। প্রশ্রয়দাতাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।’

ধর্ষণের সঙ্গে সরকারি দল সমর্থিত ছাত্র-সংগঠনের নাম আসছে- এ বিষয়ে সাংবাদিকরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী বলেন, ‘যেই হোক। এটার দায় কেউ এড়াতে পারবে না। সরকার ক্ষমতায় থেকে কীভাবে দায় এড়াবে। সরকার এটাকে আবার প্রশ্রয়ও দিচ্ছে না। প্রত্যেকটি ব্যাপারে সরকার দায়িত্ব নিচ্ছে এবং প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ দিয়েছেন, এসব ঘটনায় যারাই জড়িত থাক, অবশ্যই তাকে আইনের আওতায় আনতে হবে। সেটা শুধু মুখে বলা হচ্ছে না, বাস্তবেও কার্যকর করা হচ্ছে।’

দৃশ্যমান কোনো শাস্তি কিন্তু দেখা যাচ্ছে না- এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কোনটা হয়নি? রিফাত হত্যার রায় সেদিন তো হয়ে গেল। ফেনীর নুসরাত, সেটিরও তো রায় হল। শাস্তি কী দুদিনেই বিচার হবে। এগুলো তো হচ্ছে। সব ব্যাপারেই শাস্তি হবে। ওয়াহিদার ওপর যে হামলা হয়েছে, সেই ব্যাপারেও তো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দলীয় পরিচয়ের নামও শোনা গেছে, কিন্তু কাউকে ছাড় দেওয়া হয়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আবরার হত্যাকাণ্ডে যারা আসামি তাদের প্রত্যেকেই ছাত্রলীগ পরিচয়ের, তাদের কী শাস্তি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, না চার্জশিট থেকে বাইরে রাখা হয়েছে।’

হাসনাত/এসএম

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়