‘প্রতিনিধি পাঠালে অনুপস্থিত হিসেবে বিবেচনা করা হবে’

বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির বৈঠকে প্রতিনিধি পাঠানোর কোনো বিধান রাখা হয়নি। কেউ প্রতিনিধি পাঠালে তাকে অনুপস্থিত হিসেবে বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

মঙ্গলবার (০৬ অক্টোবর) নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আনয়ন ও যানজট নিরসনে ‘বাস রুট রেশনালাইজেশ ‘কমিটির সভায় ডিএসসিসি মেয়র এ মন্তব্য করেন। 

মেয়র বলেন, একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ১২ সদস্য বিশিষ্ট বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটি করা হয়েছে। সেই প্রজ্ঞাপনে যাদের নাম দেওয়া আছে বা যে পদের বিপরীতে কমিটিতে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে, এই বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির বৈঠকে তাদেরকেই আসতে হবে। কারণ, প্রজ্ঞাপনে কোনো প্রতিনিধি বা উপযুক্ত প্রতিনিধি পাঠানোর বিধান রাখা হয়নি। এখন থেকে কেউ প্রতিনিধি পাঠালে আমরা ধরে নেবো তিনি অনুপস্থিত। প্রতিনিধিকে উপস্থিতি হিসেবে আমরা দেখাবো না। 

সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় যানজট নিরসনে শিগগিরই বাস কোম্পানি রেশনালাইজেশন এবং টার্মিনাল নির্মাণে অগ্রগতি হবে বলে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, বলা যায় প্রায় শূন্য থেকে আমাদেরকে শুরু করতে হচ্ছে। আমাদেরকে আবারও নতুন করে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। বাস রুট রেশনালাইজেশন এবং টার্মিনাল নির্মাণে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য পরামর্শক নিয়োগের মাধ্যমে প্রতিবেদন আমরা হাতে পেলে আগামী সভা থেকে কাজ শুরু করবো।  প্রতিবেদন হাতে পেলে এই কার্যক্রম আমরা বাস্তবভিত্তিক কার্যক্রমে পরিণত করতে পারবো। তবে আমরা দুই মেয়র ইনশাআল্লাহ দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে পারি, ভবিষ্যতে অগ্রগতি হবে। 

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ব্যারিস্টার তাপস বলেন, আপনারা দেখেছেন এর আগেও সময়সীমা দিয়ে সেটি রক্ষা করা যায়নি। সুতরাং কোনো সময়সীমা না দিয়ে এটা বলতে পারি, আমরা অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে চলেছি। সেই নিষ্ঠার প্রতিফলন আপনারা পাবেন।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, শতকরা ৬৩ ভাগ মানুষ বাসে চলাচল করেন। আমরা দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই আলোচনা করেছি। প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক যে চেষ্টা করেছিলেন সেই চেষ্টার ধারাবাহিকতায় আমরা (দুই মেয়র) এটাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছি। এর একটি রূপ শিগগিরই দেখা যাবে। 

ফজলে নূর তাপসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় রাজউক চেয়ারম্যান মো. সাঈদ নূর আলম, বিআরটিএ চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ মজুমদার, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. আব্দুর রাজ্জাক, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ, উভয় সিটি করপোরেশনের ঊধ্র্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।