ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

নির্যাতন রুখতে মৃত্যুদণ্ডের বিধান: প্রধানমন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:০৮, ১৩ অক্টোবর ২০২০   আপডেট: ২০:১১, ১৩ অক্টোবর ২০২০
নির্যাতন রুখতে মৃত্যুদণ্ডের বিধান: প্রধানমন্ত্রী

ধর্ষণ নামের পাশবিকতা থেকে নারীদের রক্ষা করতেই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধন করে যাবজ্জীবনের পাশাপাশি মৃত্যুদণ্ডেরও বিধান করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস-২০২০ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন।

এক সময়ের এসিড নিক্ষেপ এখন নিয়ন্ত্রণে থাকার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এসিড নিক্ষেপকে আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। কারণ সেখানে আমরা আইন সংশোধন করেছিলাম। এসিড সন্ত্রাসের মতো ধর্ষণ নামের পাশবিকতা নিয়ন্ত্রণেই, সরকার আইন সংশোধন করে ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান যুক্ত করেছে।

যেহেতু পার্লামেন্ট সেশন নেই, তাই আমরা এক্ষেত্রে অধ্যাদেশ জারি করে দিচ্ছি। যেকোনো সমস্যা দেখা দিলে সেটি মোকাবিলা করা এবং দূর করাই আমাদের লক্ষ্য এবং সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি, বলেন তিনি।

দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ সারা বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘দুর্যোগ আসবেই। আর সেটি মোকাবিলা করেই চলতে হবে। দুর্যোগ মোকাবিলায় আমরা আন্তর্জাতিকভাবে দৃষ্টান্ত দেখাতে পেরেছি। সেদিক থেকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি শুধু না, বাংলাদেশ পথ দেখাতে পারছে কিভাবে দুর্যোগ মোকাবিলা করা যায়। মানুষকে সঙ্গে নিয়ে কিভাবে দুর্যোগ মোকাবিলা করতে হবে সেটা আমরা করে যাচ্ছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০১৯ সালের জুলাই মাসে ঢাকায় গ্লোবাল কমিশন অন অ্যাডাপটেশনের সভায় জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন দুর্যোগ প্রতিরোধে বাংলাদেশের সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ বিশ্ব অভিযোজন কেন্দ্র ঢাকা অফিস স্থাপনের ঘোষণা দেন।  তারই পরিপ্রেক্ষিতে গত মাসে বৈশ্বিক অভিযোজন কেন্দ্রের কার্যালয় আমরা স্থাপন করেছি। আমরাই একটা দৃষ্টান্ত দেখাতে পেরেছি আন্তর্জাতিকভাবে।’

বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অনেক দেশ আছে, যদি সাগরের পানি একটু বেড়ে যায় সেসব দেশ একেবারে বিলুপ্ত হয়ে যাবে। আমাদের উপকূলীয় অঞ্চল, বসতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাহলে এই মানুষগুলো যাবে কোথায়?’

এ সময় স্কুলজীবন থেকেই ছেলেমেয়েদের দুর্যোগ মোকাবিলার শিক্ষা দিতে হবে বলেও উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম, সচিব মো. মহসিন।

ঢাকা/পারভেজ/জেডআর

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়