২০ হাজার মালয়েশিয়ান পর্যটক চায় বাংলাদেশ

২০২১ সালে স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকী উদযাপনে পর্যটন বর্ষ পালনের লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। এই প্রেক্ষাপটে আগামী বছর অন্তত ২০ হাজার মালয়েশিয়ান পর্যটক যেন বাংলাদেশ ভ্রমণ করেন, সে লক্ষ্যে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে।

বুধবার (১৪ অক্টোবর) এক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ টুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাবেদ আহমেদ।

‘ভ্রমণ’ ম্যাগাজিন এবং বাংলাদেশ টুরিজম বোর্ডের যৌথ আয়োজনে ‘পর্যটন: বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য পেনাল্টি শুট’ শীর্ষক সিরিজ সেমিনার ও ওয়েবিনারের এটি ছিল অষ্টম আয়োজন। এর প্রতিপাদ্য ছিল, ‘ভিজিট বাংলাদেশ: দ্য নিউ হরিজনস ফর দ্য মালয়েশিয়ান টুরিস্ট।’

জাবেদ আহমেদ বলেন, ‘কোভিড-১৯ পরবর্তী পর্যটনে সম্ভাব্য সফল দেশের তালিকায় আছে বাংলাদেশ। আগামী বছর পর্যটন বর্ষ উদযাপন সফল করার জন্য আসিয়ান ও ওআইসির সদস্য দেশগুলো থেকে পর্যটকরা যেন বাংলাদেশ ভ্রমণে আসেন, সেজন‌্য সব রকম উদ্যোগ নেবে সরকার।’

ভ্রমণের সম্পাদক আবু সুফিয়ানের সঞ্চালনায় ওয়েবিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকাস্থ মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রদূত আমির ফরিদ আবু হাসান, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান রাম চন্দ্র দাশ, টুরিস্ট পুলিশের ভারপ্রাপ্ত প্রধান মো. ফজলুর রহমান। মালয়েশিয়ার প্রশাসনিক রাজধানী পুত্রাজায়া থেকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দেশটির পর্যটন মন্ত্রণালয়ের ইসলামি টুরিজম সেন্টারের ইন্ডাস্ট্রি ডেভেলপমেন্ট ফিতরা মোহাম্মদ আলী। দুই দেশ পর্যটনের উন্নয়নে কীভাবে একযোগে কাজ করতে পারে, তার বিভিন্ন দিক তিনি তুলে ধরেন তিনি।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিকল্পনা পরিচালক কমোডর মাহবুব জাহান খান মালয়েশিয়ান পর্যটকদের জন্য বিমানে বাংলাদেশ ভ্রমণে নানা সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার বিষয়টি উপস্থাপন করেন।

মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রদূত দুই দেশের পর্যটন ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক জোরদার করার বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, ‘মালয়েশিয়ান সরকার এবং হাইকমিশন সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে, যাতে বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া পর্যটন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় আসীন হতে পারে।’