ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

‘বিদ্যুৎ-জ্বালানিতে বড় চ্যালেঞ্জ দক্ষ জনশক্তি-উন্নত প্রযুক্তি’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৩৪, ১৬ অক্টোবর ২০২০  
‘বিদ্যুৎ-জ্বালানিতে বড় চ্যালেঞ্জ দক্ষ জনশক্তি-উন্নত প্রযুক্তি’

দেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদখাতে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে দক্ষ জনশক্তি এবং উন্নত প্রযুক্তি।  বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদে দক্ষ জনশক্তি ও প্রযুক্তিবান্ধব করে গড়ে তুলতে না পরলে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব নয়। আর এজন্য প্রযুক্তি নির্ভর খাতগুলোতে প্রতিষ্ঠান প্রধান অবশ্যই প্রকৌশলী হওয়া জরুরি।

শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ’র (আইইবি) যন্ত্রকৌশল বিভাগের উদ্যোগে আইইবি’র শহীদ প্রকৌশলী ভবনের কাউন্সিল হলে ‘এনার্জি সিকিউরিটি অব বাংলাদেশ: ইস্যুজ অ্যান্ড অপশনস’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এ মন্তব্য করেন।
 
সেমিনারে আইইবি’র যন্ত্রকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোহাম্মদ নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে সঞ্চালনা করেন বিভাগের সম্পাদক প্রকৌশলী আবু সাঈদ হিরো। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।  

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইইবি’র প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মো. নূরুল হুদা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক, আইইবি’র সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর এবং আইইবি’র ভাইস-প্রেসিডেন্ট (এইচআরডি) প্রকৌশলী মো. নুরুজ্জামান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইইবি’র সাধারণ সম্পাদক (সম্মানী) প্রকৌশলী মো. শাহাদাৎ হোসেন (শীবলু)।  সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ম. তামিম। সেমিনারে সম্মানিত আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইইবি’র ভাইস-প্রেসিডেন্ট (একা. ও আন্তঃ) ও পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন এবং জিটিসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. আতিকুজ্জামান। সেমিনারে ধন্যবাদ জানান বিভাগের ভাইস-চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আহাসন বিন বাশার (রিপন)।

অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, আমরা যদি প্রযুক্তিবান্ধব দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে না পারি, তাহলে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো না। বাংলাদেশ বর্তমানে জ্বালানি ক্ষেত্রে স্বয়ংসম্পূর্ণ। 

জ্বালানি ধীরে ধীরে আমদানি নির্ভর হয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের যে গ্যাস তা এক সময় শেষ হয়ে যাবে। আমাদের চাহিদা কিন্তু থাকবে, বরং বাড়বে। আমরা বিদ্যুৎ, জ্বালানি এবং গ্যাসক্ষেত্রগুলো নিয়ে মাস্টার প্লান করছি। ঢাকা শহরে গ্যাস ব্যবস্থাপনায় টোটাল অটোমেশন করার জন্য ব্যাপক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। 

ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশকে (আইইবি) বিভিন্ন সেক্টরভিত্তিক মাস্টার প্লান তৈরি করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, অবকাঠামোগত মাস্টার প্লান বাংলাদেশে নেই, তবে সেটি খুব দরকার। যত অবকাঠামো নির্মাণ হচ্ছে (পদ্মাসেতু, বড় বড় সড়ক) তার সঙ্গে সঙ্গে এনার্জির চাহিদাও বেড়ে যাচ্ছে। 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আইইবি’র সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর বলেন, ১৯৭৫ সালের ৯ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। 

তিনি আরও বলেন, মানবসভ্যতার অস্তিত্ব নির্ভর করে জ্বালানি শক্তির ওপর। দেশের জন্য বর্তমানে জ্বালানি একটি অপরিহার্য সম্পদ। শুধু আমাদের দেশে নয়, জ্বালানি ছাড়া পৃথিবীর গতিশীলতা স্তব্ধ হয়ে যাবে। সভ্যতার ক্রমবিকাশ মান ধারার প্রতিটি ক্ষেত্রে জ্বালানির প্রয়োজন অর্থনৈতিক সব কর্মকাণ্ড জ্বালানি নির্ভর। 

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ম. তামিম বলেন, ভিশন-মিশন থাকবে, কিন্তু প্লান করতে হবে স্বল্প সময়ের জন্য। শীতের সময় আমাদের দেশে বিদ্যুৎ কম লাগে, কিন্তু গরমের সময় বিদ্যুৎ বেশি লাগে। তাই গরমকালে বিদ্যুৎতের চাহিদা পূরণের জন্য আঞ্চলিক সহযোগিতা নেওয়া যেতে পারে। তবে সব কিছু শেষ হয়ে যাবে যদি মানবসম্পদ উন্নয়ন না করা যায়। আর মানবসম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে আলাদা একটি মন্ত্রণালয় দরকার।

ঢাকা/হাসান/জেডআর

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়