ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

৯ বছরে প্রকল্পের অগ্রগতি ১৭ শতাংশ

হাসিবুল ইসলাম মিথুন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৫০, ২৩ অক্টোবর ২০২০   আপডেট: ০৯:৪৩, ২৪ অক্টোবর ২০২০
৯ বছরে প্রকল্পের অগ্রগতি ১৭ শতাংশ

বন্ধ হওয়ার প্রায় এক দশক পর রেলওয়ের কুলাউড়া-শাহবাজপুর সেকশন চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। সে লক্ষ্যে অনুমোদন দেওয়া হয় প্রকল্প। প্রাথমিক ব্যয় সংশোধিত প্রকল্পে এসে খরচ বাড়ে প্রায় ৫ গুণ, বাড়ে সময়ও। এরপর প্রকল্পের ব্যয় না বাড়লেও, বাড়ে সময়। 

এতকিছু করে পেরিয়েছে ৯ বছর, যেখানে প্রকল্পের অগ্রগতি মাত্র ১৭ শতাংশ। আর পুরো প্রকল্প শেষ করতে আরও ৯ বছর লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

১৮৯৬ সালের ৪ ডিসেম্বর কুলাউড়া-শাহবাজপুর সেকশন চালু করা হয়। ১০৬ বছর চালু থাকার পর বাজেট স্বল্পতার কারণে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ না করায় এক সময় ট্রেন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে সেকশনটি। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৫২ দশমিক ৫৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের কুলাউড়া-শাহবাজপুর সেকশনটি ২০০২ সালের ৭ জুলাই কর্তৃপক্ষ এ পথে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয়। 

এক পর্যায়ে সেকশনটি চালুর উদ্যোগ হিসেবে বর্তমান সরকার ২০১১ সালে বিদ্যমান মিটারগেজ লাইন সংস্কারের লক্ষ্যে ১১৭ কোটি ৬১ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের কুলাউড়া-শাহবাজপুর সেকশন পুনর্বাসন’ প্রকল্প অনুমোদন দেয় জাতীয় অর্থনৈতি পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এরপর ২০১৫ সালের ২৬ মে প্রকল্পটি খরচ ও সময় বাড়িয়ে সংশোধন (প্রথম) করে ৬৭৮ কোটি টাকা ও ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়। এরপর আবার প্রকল্পের ব্যয় না বাড়িয়ে মেয়াদ বাড়ানো হয় ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।
 
জানা যায়, প্রকল্পে ভারতীয় ক্রেডিট অব লাইনের (এলওসি) আওতায় ঋণ দিচ্ছে ৫৫৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। 

এদিকে প্রকল্পের ওপর গত ১৩ সেপ্টেম্বর প্রজেক্ট স্টিয়ারিং কমিটির (পিএসসি) ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রকল্প পরিচালক মুজিবুর রহমান জানান, প্রকল্পের আওতায় ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের ক্রমপুঞ্জিত মোট ব্যয় হয়েছে ১১২ কোটি ৪২ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারের তহবিলের ১২ কোটি ৬৫ লাখ টাকা এবং ঋণ থেকে ৯৯ কোটি ৭৮ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়েছে। এ সময় পর্যন্ত প্রকল্পের ক্রমপুঞ্জিত আর্থিক ও বাস্তব অগ্রগতি হয়েছে ১৭ শতাংশ। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) প্রকল্পে বরাদ্দ রয়েছে ৬১ কোটি টাকা। আর চলতি অর্থবছরের দুই মাসে ব্যয় হয়েছে সাড়ে ৯ কোটি টাকা। 

সভায় তিনি জানান, প্রকল্পের আওতায় কুলাউড়া-শাহবাজপুর সেকশনে বিদ্যমান মিটারগেজ রেললাইনের মধ্যে মেইন লাইন ৪৪ দশমিক ৭৭ কিলোমিটার ও লুপ লাইন ৭ দশমিক ৭৭ কিলোমিটার। নতুন ৬০ কেজি রেল ও পিসি স্লিপার দিয়ে ডুয়েলগেজ সিঙ্গেল লাইনে পুনর্বাসন করা হবে। 

পরিচালক মুজিবুর রহমান জানান, শুরু থেকে গত জুন পর্যন্ত প্রকল্পের ক্রমপুঞ্জিত আর্থিক অগ্রগতি প্রায় ১৭ শতাংশ ও বাস্তব অগ্রগতি প্রায় ১৭ শতাংশ। অর্থাৎ প্রকল্পের বাস্তবায়ন কার্যক্রমের প্রায় ৮৩ শতাংশ এখনও বাকি। লক্ষ্যমাত্রা বিবেচনায় প্রকল্পটি শেষ করতে আরও প্রায় ৯ বছর সময়ের প্রয়োজন হতে পারে।

ঢাকা/হাসিবুল/জেডআর

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়