বাংলাদেশ-ভারত পারস্পরিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে

ভারত শুধুমাত্র বাংলাদেশের নিকটতম প্রতিবেশীই নয়, আমাদের বিশ্বস্ত ও পরীক্ষিত বন্ধু বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। অন্যদিকে, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নকে ভারত যথেষ্ঠ গুরুত্ব দেয় বলে জানিয়েছেন ভারতের নবনিযুক্ত হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।

সোমবার (২ নভেম্বর) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী এক ভার্চুয়াল আলোচনায় অংশ নেন। এসময় তারা পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য-বিনিয়োগ, শিক্ষা-সংস্কৃতি, দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার কথাও পুনর্ব্যক্ত করেছে।    

নবনিযুক্ত হাইকমিশনারকে স্বাগত জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক অত্যন্ত সুদৃঢ় ও বন্ধুত্বপূর্ণ। 

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সহযোগিতার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে ভারতের নাম ওঁৎপ্রোতভাবে জড়িত। বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ ও ভারত তিনটি নাম মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে  নিবিড়ভাবে সম্পর্কযুক্ত।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ভারত শুধুমাত্র বাংলাদেশের নিকটতম প্রতিবেশীই নয়, আমাদের বিশ্বস্ত ও পরীক্ষিত বন্ধু। বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে থাকে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। পারস্পারিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা অব্যাহত রাখা খুবই জরুরি। আঞ্চলিক সংযোগ বৃদ্ধি এ অঞ্চলের সব দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বয়ে আনবে। নবনিযুক্ত হাইকমিশনার দায়িত্ব পালনকালে দু’দেশের সম্পর্কোন্নয়নে সর্বাত্মক প্রয়াস চালাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়নসহ অনেক ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশ থেকে উল্লেখযোগ্য ভাবে এগিয়ে রয়েছে। 

ভবিষ্যতে আইটি সেক্টর, স্বাস্থ্যসেবাখাতসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অংশগ্রহণ ভারতের জন্যও সম্মানের। বাংলাদেশ ও ভারতের ইতিহাস, ভাষা, সংস্কৃতিসহ অনেক বিষয়ে সম্পর্কিত। আমাদেরও পারস্পারিক সহযোগিতার বহুবিধ সুযোগ রয়েছে। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।

আলোচনাকালে ভারতীয় হাইকমিশনারকে তার দায়িত্ব পালনকালে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাস দেন অর্থমন্ত্রী।