ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

ঘাস চাষ শিখতে বিদেশ যাবেন ৩২ কর্মকর্তা, একনেকে উঠছে প্রকল্প

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:০৪, ২৩ নভেম্বর ২০২০   আপডেট: ১৪:৪৪, ২৩ নভেম্বর ২০২০
ঘাস চাষ শিখতে বিদেশ যাবেন ৩২ কর্মকর্তা, একনেকে উঠছে প্রকল্প

ঘাসের চাষ শিখতে বিদেশ যাবেন ৩২ কর্মকর্তা।এ খাতে মোট ব্যয় হবে ৩ কোটি ২০ লাখ টাকা। প্রত্যেক কর্মকর্তা খরচ বাবদ পাবেন ১০ লাখ টাকা। 

‘প্রাণীপুষ্টির উন্নয়নে উন্নত জাতের ঘাসের চাষ সম্প্রসারণ ও লাগসই প্রযুক্তি হস্তান্তর’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় কর্মকর্তারা  অস্ট্রেলিয়া, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামে প্রশিক্ষণ নেবেন। ১৫ দিন থেকে এক মাস চলবে প্রশিক্ষণ।

মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে প্রকল্পটি উপস্থাপন করা হবে। প্রকল্পের মোট প্রস্তাবিত ব্যয় ১০১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। জানা গেছে, একনেক সভায় মোট ছয়টি প্রকল্প উপস্থাপন করা হবে।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, নেপিয়ার-এর  চার থেকে ৫টি জার্ম প্লাজম দেশে আনা হবে। এগুলো কিভাবে প্রস্তুত করা যায় সেই বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেবেনে কর্মকর্তারা। কিভাবে সারা দেশের খামার পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়া যায়, ল্যাবরেটরিতে জার্মপ্লাজম সংরক্ষণ করা যায় সেই বিষয়ে তিনটি দেশে কর্মকর্তারা ১৫ দিন থেকে ১ মাসের প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশে প্রয়োগ করবেন।   সারা দেশে নেপিয়ার রিপ্লেস হবে নেপিয়ার-১।

পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য জাকির হোসেন আকন্দ বলেন, প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। ঘাষ চাষে প্রশিক্ষণ নিতেই কর্মকর্তারা অস্ট্রেলিয়া, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামে যাবেন। বর্তমানে দানাদার খাবারে দুধের উৎপাদন খরচ ২৪ টাকা, ঘাসের মাধ্যমে ৩০ শতাংশ কমে আসবে।

তিনি আরও জানান, অনুমোদন পেলে চলতি বছর থেকে ২০২৪ সালের মার্চের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করবে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।  খামারি পর্যায়ে উচ্চ উৎপাদনশীল জাতের ঘাস চাষ সম্প্রসারণ ও জনপ্রিয় করার মাধ্যমে গবাদি প্রাণীর পুষ্টির উন্নয়ন করা প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য। এছাড়া প্রযুক্তি হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় খামার পর্যায়ে প্রাণীপুষ্টি উন্নয়ন প্রযুক্তি প্রদর্শন ও দুর্যোগকালীন গো-খাদ্যের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে সাইলেজ প্রযুক্তি গ্রহণে উদ্বুদ্ধকরণ।

সাভারে কেন্দ্রীয় গো প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে স্থায়ী জার্ম প্লাজম নার্সারি স্থাপন করাসহ ৮ হাজার ৯৭০টি উচ্চ উৎপাদনশীল উন্নত জাতের স্থায়ী বা অস্থায়ী ঘাসের প্রদর্শনী প্লট স্থাপন করা হবে।বিদেশ থেমে আমদানি করা নেপিয়ার-১ জার্মপ্লাজ সম্প্রসারণ করা হবে। বিজ্ঞানসম্মত ও আধুনিক পদ্ধতিতে কাঁচাঘাস সংরক্ষণের জন্য ১৭ হাজার ৯৪০টি খামারে লাগসই প্রযুক্তি (সাইলেজসহ) হস্তান্তর করাসহ অধিক প্রোটিন সমৃদ্ধ ঘাসের বীজ বিতরণ, ভিটামিন-মিনারেল প্রিমিক্স খাদ্য এবং কৃমিনাশক বিতরণ, কমিউনিটি এক্সটেনশন এজেন্ট নির্বাচন, জনসচেতনতা বাড়ানো এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।

যে প্রকল্পগুলো একনেক সভায় উপস্থাপন করা হবে সেগুলো হলো- খুরশকুল বিশেষ আশ্রয়ন, শেখ হাসিনা তাঁতপল্লী স্থাপন, পায়রা বন্দরের কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প, ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়ক ও ওয়েস্টার্ন ইকোনোমিক করিডর অ্যান্ড রিজিয়নাল এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রাম।

হাসিবুল/সাইফ 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়