‘খাদ্যে স্বয়ংসম্পন্ন করতে বেশি অবদান কৃষিবিদদের’

সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পন্ন করতে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছেন কৃষিবিদরা।
মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) রাজধানীর ফার্মগেটের বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে দুটি গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য কৃষিবিদ বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) এর সাবেক মহাপরিচালক এবং ইউনিভার্সিটি অব গ্লোবাল ভিলেজের উপাচার্য ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম খান রচিত ‘বঙ্গবন্ধুর কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়ন ভাবনা’ এবং ‘কৃষিতে করোনার অভিঘাত’ শীর্ষক দুইটি গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় কষ্ট হলো ক্ষুধার কষ্ট। আর দরিদ্র ও অভুক্ত মানুষের এ কষ্ট দূর করতে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছেন কৃষিবিদ ও কৃষক সমাজ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কৃষিবান্ধব নীতি প্রণয়ন এবং কৃষিবিদদের নিরলস ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দেশ আজ শুধু খাদ্যে স্বয়ংসম্পন্ন হয়নি বরং খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত হয়েছে। আর এক্ষেত্রে কৃষকের পাশাপাশি সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছেন কৃষিবিদরা।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী সভাপতি কৃষিবিদ হামিদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বগুড়া-১ আসনের সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নান।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল এর নির্বাহী চেয়ারম্যান কৃষিবিদ ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক সহকারী একান্ত সচিব ড. মো. আওলাদ হোসেন, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. নাজিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর, বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. আমজাদ হোসেন প্রমুখ।
মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রারম্ভিক বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. নাথুরাম সরকার।
ঢাকা/আসাদ/জেডআর