সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান

স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক শক্তির অপচেষ্টার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) সচিবালয়ের নিজ দপ্তর থেকে এক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। পিরোজপুর মুক্ত দিবস উপলক্ষে পিরোজপুরের গোপাল কৃষ্ণ টাউন হল মিলনায়তনে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে জেলা প্রশাসন।

পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হাকিম হাওলাদার। আরও উপস্থিত ছিলেন—পিরোজপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার সমীর কুমার দাস বাচ্চু ও গৌতম নারায়ণ রায় চৌধুরী।

শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সাফল্য কেউ যাতে ছিনিয়ে নিতে না পারে, সেজন্য বিজয়ের মাসে আমাদের আবার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের পর বাংলাদেশকে আবার পাকিস্তানে পরিণত করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। গোলাম আযমসহ যুদ্ধাপরাধীদের দেশে ফিরিয়ে এনে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসে আবার মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করেছেন। একই সঙ্গে তিনি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণ করেছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নত-সমৃদ্ধ। এই শান্তিপূর্ণ অবস্থার মধ্যে আবার নতুন করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার জন্য, দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে একটি মহল। তারা মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করছে। তাদেরকে যেকোনো মূল্যে প্রতিহত করতে হবে। ৩০ লাখ শহিদের স্বপ্ন, বঙ্গবন্ধুর আজন্ম লালিত স্বপ্ন কোনোভাবেই নষ্ট হতে দেওয়া হবে না।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের চূড়ান্ত বিজয় অর্জন হয়েছে ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু পিরোজপুর ৮ ডিসেম্বরেই হানাদারমুক্ত হয়েছিল। পিরোজপুরের মানুষের সে গৌরব ও ঐতিহ্য সম্মিলিতভাবে ধরে রাখতে হবে।’