ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

‘বিজয় নিশান উড়ছে ওই’

শাহ মতিন টিপু  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:১৪, ১৬ ডিসেম্বর ২০২০  
‘বিজয় নিশান উড়ছে ওই’

‘বিজয় নিশান উড়ছে ওই, বাংলার ঘরে ঘরে, মুক্তির আলো ওই জ্বলছে’।  একাত্তরের এই দিনে স্বাধীন বাংলা বেতার থেকে প্রচারিত হয়েছিল ৯ মাসের যুদ্ধশেষের গান।  সেই আলোর ঝর্নাধারায় প্রজ্জ্বলিত হয়ে উঠেছিল বিশ্ব মানচিত্রে এক নতুন দেশ, বাংলাদেশ।

৫০তম মহান বিজয় দিবস আজ।  বাঙালি জাতির হাজার বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে গৌরবের, আনন্দের, অহঙ্কারের, আত্মমর্যাদার ও আত্মোপলব্ধির দিন আজ।  বিজয়ের গৌরবে গৌরবান্বিত হবার দিন।  বীরের জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার দিন।

বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এবং তাদের এ দেশীয় দোসর শান্তি কমিটি, রাজাকার, আল বদর, আল শামস বাহিনীকে চূড়ান্তভাবে পরাজিত করার দিন।  আর জাতি হিসেবে বাঙালির সহস্র বছরের সাধনা শেষে অর্জিত চূড়ান্ত বিজয়ের দিন।  সাড়ে সাত কোটি মানুষের অসীম ত্যাগ আর সাহসিকতার ফসল ছিল মুক্তিযুদ্ধের বিজয়।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃতে ৯ মাস সশ্রস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) পাক হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করে।  বহু ত্যাগ-তিতিক্ষার মাধ্যমে পূর্ব দিগন্তে উদিত হয় বিজয়ের লাল সূর্য।  অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশের।  যে অস্ত্র দিয়ে বর্বর পাকিস্তানি বাহিনী দীর্ঘ নয় মাস ত্রিশ লাখ বাঙালিকে হত্যা করেছে, দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম কেড়ে নিয়েছে সেই অস্ত্র পায়ের কাছে নামিয়ে রেখে একরাশ হতাশা এবং অপমানের গ্লানি নিয়ে লড়াকু বাঙালির কাছে পরাজয় মেনে নেয়।  সেই থেকে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস পালিত হয়ে আসছে।

আজ কৃতজ্ঞ জাতি সশ্রদ্ধ চিত্তে স্মরণ করবে দেশের পরাধীনতার গ্লানি মোচনে প্রাণ উৎসর্গ করা বীর সন্তানদের।  সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে জনতার ঢল নামবে।  শ্রদ্ধার সঙ্গে তারা শহীদের উদ্দেশ্যে নিবেদন করবেন পুষ্পাঞ্জলি।  রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের সব প্রান্তের মানুষ অংশ নেবে বিজয় দিবসে।  বঙ্গবন্ধুর বজ্র নিনাদ ভাষণ আর মুক্তিযুদ্ধের সময়ের জাগরণী গানে আকাশ-বাতাস হবে মুখরিত।  তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার বিজয় দিবসে অনেক কর্মসূচীই সীমিত আকারে পালিত হচ্ছে।

বিজয় দিবস সরকারি ছুটির দিন।  সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।  রাজধানীসহ দেশের বড় বড় শহরগুলোর প্রধান সড়ক ও সড়ক দ্বীপ জাতীয় পতাকায় সজ্জিত করা হবে।  রাতে গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনায় করা হবে আলোকসজ্জা।  হাসপাতাল, কারাগার ও এতিমখানাগুলোতে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হবে। 

ঢাকা/টিপু

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়