বাংলাদেশ থেকে অনেক শেখার আছে: তুরস্কের রাষ্ট্রদূত

বাংলাদেশকে না দেখলে এই দেশের অগ্রগতি অনুধাবন কঠিন বলে মন্তব‌্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে অনেক শেখার আছে।’ বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সঙ্গে অনলাইনে সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত এই মন্তব‌্য করেন।

গত একদশকে বাংলাদেশের অগ্রগতিতে বিস্ময় প্রকাশ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বিশ্ব মানচিত্রে আগামী ৫ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ হবে অন্য রকম একটি দেশ।’ 

বাংলাদেশে গত ১১ মাসের কর্মকালে বাংলাদেশ সম্পর্কে তার পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশের তরুণ সমাজ ডিজিটাল পদ্ধতির প্রায়োগিক ক্ষেত্রে খুবই তৎপর। আমরা প্রযুক্তি ব্যবহার ও প্রযুক্তি জ্ঞানার্জনে খুবই আগ্রহী।’

দুই দেশের ঐতিহাসিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘উপনিবেশ থেকে স্বাধীকার প্রতিষ্ঠায় বাঙালি জনতার সমর্থন তুরস্ক কোনো দিনও ভুলবে না।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম তুর্কি বীর কামাল পাশাকে তার কবিতায় তুলে এনে তুরস্কের সঙ্গে এই অঞ্চলের সেতুবন্ধন রচনা করেছেন।’

এই সময়  বাংলাদেশ ও তুরস্কের ঐতিহাসিক সম্পর্কের কথা তুলে ধরে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু তুরস্ক। বাংলাদেশ ও তুরস্কের  বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্ক আগামী দিনগুলোতে আরও সুদৃঢ় হবে।’ 

ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সরকারের গৃহীত কর্মসূচি তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘মাত্র কয়েক বছর আগেও শতভাগ ইলেকট্রিক পণ্য বিদেশ থেকে  আমদানি করতে হতো। বর্তমানে শতভাগ ইলেকট্রিক পণ্য বাংলাদেশ উৎপাদন করছে।’ তিনি আরও বলেন,  ‘একসময় সারা পৃথিবী ছিল ইউরোপে উৎপাদিত প্রযুক্তি পণ্যের ক্রেতা। বর্তমানে সেই চিত্র আর বিরাজ করে না। বাংলাদেশ এখন মোবাইলফোন উৎপাদন করছে, ল্যাপটপ ও কম্পিউটার আমেরিকা, নাইজেরিয়া ও নেপালসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করছে। আগামী একবছরে স্থানীয় উৎপাদিত মোবাইলফোনে দেশের শতভাগ চাহিদা পূরণ হবে।’

তুরস্কসহ কয়েকটি দেশে বাংলাদেশ কমপ্রেসার রপ্তানি করছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য একটি আকর্ষণীয় দেশে রূপান্তর লাভ করেছে।’ সরকারের বিনিয়োগবান্ধব সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশে বিনিয়োগে তুরস্ক এগিয়ে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।