ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

৫ শর্তে ভ্যাকসিন কিনতে ৭১৯ কোটি ৩১ লাখ টাকা বরাদ্দ

কেএমএ হাসনাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:৪৬, ১৪ জানুয়ারি ২০২১   আপডেট: ২০:৪৬, ১৪ জানুয়ারি ২০২১
৫ শর্তে ভ্যাকসিন কিনতে ৭১৯ কোটি ৩১ লাখ টাকা বরাদ্দ

পাঁচ শর্তে করোনাভাইরাসের প্রতিরোধক ভ্যাকসিন কিনতে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের এক হাজার ৫৮৯ কোটি ৪৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকার বিপরীতে, ৭১৯ কোটি ৩১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। 

বুধবার (১৩ জানুয়ারি) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থবিভাগ থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চাহিদার অনুকূলে এ অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়।  বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) অর্থ বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, মোট ১৬টি খাতের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে যে পরিমাণ অর্থ চাওয়া হয়েছিল, তা থেকে কাটছাট করে অর্থ বিভাগ এ বরাদ্দ দিয়েছে।

বরাদ্দপত্রে দেওয়া শর্ত হচ্ছে- সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদন নিতে হবে।  অগ্রিম অর্থ দেওয়ার ক্ষেত্রে সমপরিমাণ অর্থের ব্যাংক গ্যারান্টি নিতে হবে।  অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে দ্য পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অ্যাক্ট-২০০৬ এবং দ্য পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলস-২০০৮ অনুসরণসহ আর্থিক বিধি-বিধান যথাযথভাবে মানতে হবে।

এছাড়া এ অর্থ ২০২০-২০২১ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে সংশ্লিষ্ট কোডে সমন্বয় করতে হবে।  ভ্যাকসিন কেনা ও কোল্ড চেইন ইক্যুইপমেন্ট, এডি সিরিঞ্জ, সেফটি বক্স কেনা ইত্যাদি বাবদ ব্যয় প্রতিবেদন এক মাসের মধ্যে ব্যয়িত অর্থের সপক্ষে যথাযথ কর্তৃপক্ষের প্রত্যয়নসহ বিল-ভাউচার ও ব্যয় প্রতিবেদন অর্থ বিভাগে পাঠাতে হবে।

বরাদ্দ দেওয়া খাতের মধ্যে রয়েছে- পণ্যের ভাড়া ও পরিবহন ব্যয় ৭২ কোটি ৭২ লাখ ২৮ হাজার টাকা।  প্রশিক্ষণ খাতে ২ কোটি ৩৬ লাখ ৩১ হাজার টাকা।  ভ্রমণ ব্যয় ৬ কোটি ৭৬ লাখ ১৯ হাজার টাকা।  চিকিৎসা ও শল্য চিকিৎসা সরঞ্জাম ১ কোটি ৯৯ লাখ ৬৫ টাকা।  স্বাস্থ্য বিধান সামগ্রী ৩ কোটি ৩৮ লাখ ৬৪ হাজার টাকা।  ওষুধ ও প্রতিষেধক ৬২৮ কোটি ৪৩ লাখ ৬৮ হাজার টাকা এবং প্রকৌশলী এবং অন্যান্য সরঞ্জাম ৩ কোটি ৬৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা।  মোট ৭১৯  কোটি ৩১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা।

এছাড়া প্রস্তাবিত বিভাজনে প্রদর্শিত যেসব আইটেমের বিপরীতে বরাদ্দ দেওয়া হয়নি, সেসব আইটেমের ব্যয় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের বাজেট থেকে অথবা ওপিসমূহ থেকে নির্বাহ করার জন্য বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে এর আগেও ভ্যাকসিনের জন্য বরাদ্দ চাওয়া হয়েছিল। সে সময় চাহিদার চেয়ে অনেক কম বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এবারও অ্যাপ্যায়ন ব্যয়সহ বেশ কয়েকটি খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। তবে ভ্যাকসিন কেনাসহ অন্য যেসব লজিস্টিক সাপোর্ট দরকার, এর ব্যয় নির্বাহের জন্য বরাদ্দ পাওয়া গেছে।

আগামী ২৫ জানুয়ারির মধ্যে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ‘কভিশিল্ড’ ভ্যাকসিনের প্রথম চালান দেশে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। ওই সময়ের মধ্যে ভ্যাকসিন দেশে আসলে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকেই করোনার টিকাদান কার্যক্রম শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে। এ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য দ্বিতীয় দফায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুকূলে অর্থ ছাড় করা হয়েছে বলে অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।

অর্থ বিভাগের বরাদ্দপত্রে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে কভিড-১৯ প্রতিরোধক ভ্যাকসিন কেনার জন্য পরিবহন খরচসহ কোল্ড চেইনে পৌঁছানোর জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুকূলে ৭১৯ কোটি ৩১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলো। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে অর্থ বিভাগের বাজেটে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় যে তহবিল রাখা হয়েছিল, সেখান থেকে এ বরাদ্দ দেওয়া হয়।

হাসনাত/সাইফ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়