ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

আগামী বছর ৯০ শতাংশ সরকারি সেবা হবে ডিজিটালাইজড: পলক

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৫৪, ১৬ জানুয়ারি ২০২১  
আগামী বছর ৯০ শতাংশ সরকারি সেবা হবে ডিজিটালাইজড: পলক

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ২০২১ সালের মধ্যে সবার জন্য ইন্টারনেট সুবিধা নিশ্চিতের পাশাপাশি ৯০ শতাংশ সরকারি সেবা ডিজিটালাইজড করতে কাজ করছে সরকার।

তিনি বলেন, মানুষ সেবার পেছনে ছুটবে না, সেবা পৌঁছে যাবে মানুষের হাতের মুঠোয়।

শনিবার (১৬ জানুয়ারি) আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে বিসিসি অডিটরিয়ামে ডিজিটাল বাংলাদেশের ১২ বছর উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে এ সংবাদ সম্মেলন হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব,  বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ. বি. এম. আরশাদ হোসেনসহ বিভাগ ও এর অধীন বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিগত ১২ বছরে দেশে একটি শক্তিশালী আইসিটি অবকাঠামো তৈরি হয়েছে, যা গ্রাম এলাকা পর্যন্ত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সম্প্রসারণ ঘটিয়েছে।  দেশের ৩ হাজার ৮০০ ইউনিয়ন এখন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগের আওতায় এসেছে। ২০২১ সালের মধ্যে সবার জন্য ইন্টারনেট নিশ্চিত করা হবে বলেও তিনি জানান।

তিনি বলেন, আইসিটি অবকাঠামো গড়ে তোলার কারণে করোনা মহামারিতে অনলাইন/সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অফিস-আদালত, চিকিৎসা সেবা, শিক্ষা ও ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনোদন এমনকি কোর্টের কার্যক্রমও চালু রাখা সম্ভব হচ্ছে। সরকার করোনা পোর্টাল, কোভিড ট্রেসার, কোভিড ১৯ ট্রাকার, ফুড ফর ন্যাশন, হেলথ ফর ন্যাশনসহ বিভিন্ন ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে করোনা মোকাবিলা করছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে প্রায় ২ হাজার ৮০০ সরকারি সেবাকে ডিজিটালাইজড করার অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে ৬০০টি সেবা ডিজিটালে রূপান্তর করা হয়েছে।  অফিসের কার্যক্রমে  কাগজ ও কলমের ব্যবহার কমিয়ে আনার লক্ষ্যে ই-অফিস কার্যক্রম চালু করেছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সরকারি অফিসে কাজের গতিশীলতা, স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহি আনতে ই-নথি চালু করা হয়। বর্তমানে ৮ হাজারেরও বেশি অফিসের প্রায় ৯০ হাজারেরও অধিক কর্মকর্তা ই-নথি ব্যবহার করছে।  এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৪৩ লাখ ফাইল ই-নথি সিস্টেমের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয়েছে।

ফ্রিল্যান্সাররা গ্রামেগঞ্জে থেকেও বিদেশের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গ্রামে বসেই মানুষ শহরের সব সুবিধা ভোগ করতে পারছে।  প্রযুক্তির কল্যাণে বর্তমানে শহর এবং গ্রামের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।  ৬ হাজার ৭৯০টি ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে ৫৪ কোটি ৮৫ লাখ মানুষকে সেবা দেয়া হচ্ছে।  দেশে ৩৯টি হাইটেক ও আইটি পার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে।  এর মধ্যে ৫টির র্নিমাণ শেষ এবং এতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।  ৮টি শেখ কামাল আইটি ইনকিউবেশন ট্রেনিং সেন্টারের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আরো ১২ টির কাজ প্রক্রিয়াধীন। দেশের ৬৪ জেলায় পর্যায়ক্রমে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ইনকিউবেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সৌদি আরবে ১৫টিসহ মোট প্রায় ৮ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব’ স্থাপন করা হয়েছে। আরও ৫ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব নির্মাণের কার্যক্রম চলছে। ৩০০টি স্কুল অব ফিউচার স্থাপনের কার্যক্রম চলমান। বিগত ১২ বছরে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ১৫ লাখ মানুষকে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করা হয়েছে।  ২০২১ সালের মধ্যে আইসিটি খাতে কমর্সংস্থানের সংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় ২০ লাখ।

পলক বলেন, র্স্টাটআপ ও উদ্ভাবনী সংস্কৃতি গড়ে তুলতে ৪৪টি র্স্টাটআপ প্রতিষ্ঠানের ১১৮ জন স্টার্টআপ প্রতিনিধিকে কো-ওয়ার্কিং স্পেস বরাদ্দ এবং ১৩৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনোভেশন হাব তৈরি করা হয়েছে।

প্যানেল আলোচনার শুরুতে “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার ১২ বছর” শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন। পরে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

 

ঢাকা/হাসান/এসএন 

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়