‘সরকারি সম্পত্তি নজরদারিতে ভূমি ডাটা ব্যাংক ব্যবহার’
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম
সারা দেশের সরকারি সম্পত্তি সুষ্ঠু নজরদারিতে ভূমি ডাটা ব্যাংক ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। এতে সরকারি সম্পত্তির অবৈধ ব্যবহার ও দখলদারিত্ব কমে আসবে বলেও মনে করেন তিনি।
মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ‘টেকসই ডিজিটাল ভূমি তথ্য ব্যাংক তথা ‘ভূমি ডাটা ব্যাংক-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভূমি সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান পিএএ এবং খুলনা সিটি কর্পোরেশনের বর্তমান মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বিশেষ অতিথি, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা কামাল, খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. ইসমাইল হোসেন, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার দাস, খুলনার জেলার পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ, খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ হারুনুর রশীদসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ভূমিসেবা প্রদানে সরাসরি উপস্থিত হবার হার কমিয়ে এনে ডিজিটাল পদ্ধতিতে যত বেশি সেবা প্রদান করা যাবে ভূমি সম্পর্কিত দুর্নীতি তত কমে আসবে। আমরা টেকসই ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থা স্থাপনের চেষ্টা করছি যা কিছুটা সময় সাপেক্ষ। আমরা এমনভাবে সিস্টেম উন্নয়ন করার চেষ্টা করছি যেন তা ব্যক্তি-বিশেষের উপর নির্ভর না করে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক গৃহীত রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়ন এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে ভূমি মন্ত্রণালয় তার অংশ সফলভাবে বাস্তবায়ন করবে বলে ভূমিমন্ত্রী এ সময় দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এক পর্যায়ে ৪ কোটির উপর খতিয়ান অনলাইনে আপলোড করা হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন ভূমি ব্যবস্থাপনায় এ ধরণের উদ্যোগের কারণে বর্তমানে ভূমি সেক্টরে অনেক স্বচ্ছতা এসেছে। এ সময় তিনি জলমহাল বরাদ্দ দেওয়ার বর্তমান ব্যবস্থার কথাও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন সিস্টেম উন্নয়নের কারণে এখন প্রকৃত মৎসজীবীরা নির্বিঘ্নে জলমহাল বরাদ্দ পাচ্ছেন।
ভূমি সচিব মো: মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অনলাইন ভূমি উন্নয়ন কর ও ই-নামজারি দেশব্যাপী শতভাগ চালু করা সম্ভব হলে ৫০ শতাংশ সেবা গ্রহীতাদের ভূমি অফিসে যাতায়াতের প্রয়োজন হবে না।
তিনি বলেন খুলনা জেলা প্রশাসন যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তাতে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন অধিকতর উপযোগী করে ভূমিমন্ত্রী মহোদয়ের নির্দেশ অনুযায়ী দ্রুত সারা বাংলাদেশে বাস্তবায়ন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
শতভাগ খাসজমি চিহ্নিতকরণ, ছবিসহ খাসজমি, অর্পিত ও পরিত্যক্ত সম্পত্তি, সায়রাত মহাল-এর শক্তিশালী ডাটাবেজ তৈরি করে জনগণের জন্য তথ্য উন্মুক্তকরণসহ নথি আর্কাইভ করে ভূমি তথ্য ব্যাংক তৈরি করা হয়েছে। অনলাইন সফটওয়্যার ও মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে ডিজিটাল পদ্ধতিতে খাসজমি বন্দোবস্ত, জলমহাল, বালুমহাল ও হাটবাজার ইজারা প্রদান করে ই-ভূমিসেবা নিশ্চিত করতে খুলনা জেলা প্রশাসন উদ্যোগটি গ্রহণ করেছে।
নঈমুদ্দীন/নাসিম
আরো পড়ুন