কাঁটাবনে চলছে একুশে বই উৎসব
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম
পাবলিশার্স ফোরাম কাঁটাবন আয়োজিত সপ্তাহব্যাপী একুশে বই উৎসব-২০২১ শুরু হয়েছে। প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত রাজধানীর কাঁটাবনে বইয়ের মার্কেট কনকর্ড চত্বরে চলছে এই উৎসব। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই উৎসব চলবে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
উৎসব কমিটির আহ্বায়ক ও সমগ্র প্রকাশনার স্বত্বাধিকারী শওকত আলী তারা বলেন, ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে বাংলা একাডেমি আয়োজিক বই মেলা হচ্ছে না। বিষয়টি জানার পর আমরা কনকর্ড মার্কেটের পুস্তক ব্যবসায়ীরা সিদ্ধান্ত নিই স্বল্প পরিসরে সপ্তাহব্যাপী বই উৎসব করবো। এই মার্কেটে বর্তমানে প্রকাশক আছেন ৪৫জন। তাদের মধ্যে ৪২ জন এই উৎসবে যুক্ত আছেন।
তিনি বলেন, অমর একুশে বইমেলা ঐতিহ্য রক্ষায় বাংলা একাডেমির আদলে আমরা এই উৎসবের আয়োজন করেছি। প্রতিদিন কবিতা পাঠ, সাহিত্য, সংস্কৃতি বিষয়ে আলোচনা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হচ্ছে। বই বিক্রি আসল না, ফেব্রুয়ারি মাস বলে আমরা এই উৎসব প্রতিকী অর্থে করছি।
বই উৎসবে ৪২টি স্টলে পুরানো বইয়ের পাশাপাশি প্রায় ২ শতাধিক নতুন বইও এসেছে বলে জানিয়েছেন আবিষ্কার প্রকাশনীর কর্ণধার দেলোয়ার হাসান।
তিনি বলেন, আমরা কনকর্ডের পুস্তক প্রকাশক ও ব্যবসায়ীরাই এই মেলায় অংশ নিচ্ছি। মার্চে অমর একুশে বইমেলায় আমাদের এখানকার প্রকাশকদের অন্তত ৮০০ থেকে ১ হাজার নতুন বই প্রকাশিত হবে।
এই বই উৎসবের শেষ দিন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী উপস্থিত থাকবেনও বলেন জানান দেলোয়ার হাসান।
উৎসব ঘুরে দেখা গেছে, পাঠকদের উপস্থিতি ভালোই। ছোট পরিসরে ৪২টি স্টল রয়েছে। আজিমপুর থেকে মেলায় আগত ছাত্রী শিল্পী বলেন, প্রতি বছর বাংলা একাডেমির বইমেলায় যাই। এবার মেলা মার্চে হবে। একুশে মেলা মিস করছিলাম। গতকাল খবর পেয়ে আজ চলে আসলাম এখানে।
প্রকৃতি প্রকাশনের স্বত্বাধিকারী সৈকত হাবিব বলেন, শুক্র ও শনিবার লোক সমাগম বাড়বে।
মেলায় অংশ নেওয়া প্রকাশনীর মধ্যে রয়েছে সমগ্র প্রকাশন, জয়তী, মুক্তচিন্তা, মূর্ধন্য, গদ্যপদ্য, জাতীয় সাহিত্য প্রকাশ, আপন প্রকাশ, অগ্রদূত অ্যান্ড কোম্পানি, মহাকাল, চিত্রা, আদর্শ, মধ্যমা, বেহুলা বাংলা, চিরদিন, পেন্ডুলাম, প্রকৃতি, আবিষ্কার, উজান, কবি, দ্বিমিক, টাঙ্গন, সংহতি, জাগতিক, বাবুই, আদর্শলিপি, মেঘ, স্বরঅ, ৭১, কারুবাক, ঘোড়াউত্রা, অনুপ্রাণন, বলাকা, সাহস, খোয়াবনামা, সেভেনডেইজ, দ্যু প্রকাশন, জাগৃতি, অভ্র প্রকাশ, আলোঘর, এএইচ ডেভেলপমেন্ট হাউজ ও শব্দঘর।
মেসবাহ/সাইফ
আরো পড়ুন