ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৩ ১৪৩১

৬ দাবিতে মৎস্যজীবীদের স্মারকলিপি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:১৭, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১  
৬ দাবিতে মৎস্যজীবীদের স্মারকলিপি

ছয় দফা দাবিতে মানববন্ধন ও মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে স্মারকলিপি দিয়েছে ‘বাংলাদেশ ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জেলে সমিতি’।

বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মৎস্য ভবনের সামনে মানববন্ধন করে সংগঠনটি। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জেলে সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মনির হোসেন ভূঁইয়া, শামসুদ্দিন ভূঁইয়া, দপ্তর সম্পাদক আজিজুর রহমান, আইনবিষয়ক সম্পাদক হারুন আকন, ঢাকা বিভাগীয় সভাপতি এইচ এম ইউনুছ মিয়া, রংপুর বিভাগীয় সদস্য সচিব নজরুল হক প্রমুখ।

সমিতির নেতারা বলেন, ‘সারা দেশের মৎস্যজীবীরা আজ ভালো নেই। তাদের পাশে কেউ নেই। সরকারি সাহায্য-সহযোগিতা জেলেরা ঠিকমতো পায় না। অসহায় জেলেদের দুরবস্থা লাঘবে সরকারের কাছে ৬ দফা দাবি পূরণের আহ্বান জানাই।’

মানববন্ধন শেষে মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

জেলেদের ৬ দফা দাবি হলো—
১. সব নদীর মোহনায় ক্যাপিটাল ড্রেজিং করতে হবে। মৎস্য বিভাগের সব প্রকল্পে মৎস্যজীবী জেলে সংগঠনের প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। জেলেদের রক্ষায় মৎস্য বিভাগ ও বিভিন্ন বাহিনী অভিযানে সংগঠনের সুপারিশক্রমে নতুন মাঝি নিয়োগ করতে হবে।

২. প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী খাদ্য সহায়তা, আশ্রয়ন প্রকল্প, সুদমুক্ত ঋণ, বদ্ধ জলমহালের ইজারা বাতিল করে বদ্ধ জলমহালে আয়তন ঠিক রেখে টোকেন ফি’র মাধ্যমে প্রকৃত মৎস্যজীবীদের সংগঠনের নামে বরাদ্দ দিতে হবে। মৎস্যজীবীদের সংখ্যা পর্যায়ক্রমে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে ও এফআইডি কার্ড সংশোধনে মৎস্যজীবী জেলে সংগঠনের প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

৩. ভূমিহীন মৎস্যজীবী জেলেদের নামে খাস জমি বরাদ্দ দিতে হবে ও জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। কুমিল্লা, নারায়ণগঞ্জ, সাতক্ষীরা ও কক্সবাজার জেলাকে জাটকা জোনের আওতায় আনতে হবে।

৪. খুলনা বিভাগের সাতক্ষীরা অঞ্চলের আলোর কোল, দুবলাচর, সুন্দরবন অঞ্চলের মৎস্যজীবীদের ভিজিএফ’র আওতায় আনতে হবে। এফআইডি কার্ডধারী জেলেদের সুন্দরবনে মাছ ও কাঁকড়া আহরণে মৎস্য বিভাগের মাধ্যমে পারমিট দিতে হবে।

৫. মৎস্যজীবী জেলেদের ভিজিএফ বিতরণে দুর্নীতি বন্ধের লক্ষ্যে মৎস্য বিভাগের মাধ্যমে ভিজিএফ দিতে হবে ও বাংলাদেশের সব জেলায় মৎস্যজীবী জেলেদের খাদ্য সহায়তা দিতে হবে। শুকনা মৌসুমে উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলায় বেকার হয়ে পড়া প্রায় ৩ লাখ মৎস্যজীবীর বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।

৬. ঘূর্ণিঝড় জলোচ্ছ্বাস জলদস্যু ও বিভিন্ন প্রাকৃতিক কারণে নিহত জেলে পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে আর্থিক সহায়তা ও নিবন্ধিত প্রত্যেক জেলের নামে মৎস্য বিভাগের মাধ্যমে ১০ লাখ টাকার জীবন বিমা চালু করতে হবে।

ঢাকা/হাসান/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়