ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

‘২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত দেশ গড়া সম্ভব’

সংসদ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:০০, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১  
‘২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত দেশ গড়া সম্ভব’

ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার যে ঘোষণা দিয়েছেন, আমাদের পক্ষে সেটা বাস্তবায়ন করা সম্ভব। একই সঙ্গে তামাক নিয়ন্ত্রণে সকলে একত্রে কাজ করতে হবে। 

বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর গুলশানে বার্তা২৪.কম-এর কনফারেন্স রুমে ‘প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত তামাকমুক্ত বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সংসদ সদস্যদের ভূমিকা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

ডেপুটি স্পিকার বলেন, যখন বাজেট প্রণয়ন হয় তখন টোব্যাকো কোম্পানিগুলো বিভিন্ন সেক্টরের জনগণকে প্রমোট করে। অনেক সময় দেখা যায় পার্লামেন্টের মেম্বারদেরও তারা ইনফুলেন্স করে। যাতে করে টোব্যাকো কোম্পানির পক্ষে তারা কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘টোব্যাকো কোম্পানিগুলোর পক্ষে ভয়েস ক্রিয়েট করার জন্য তাদের যদি এক মিলিয়ন বা দুই মিলিয়ন ডলার খরচ হয়, তাতে তাদের কিছু যায় আসে না। কারণ, তারা তো মিলিয়নস অব মিলিয়নস ডলার রোজগার করে নিয়ে যাচ্ছে এটাই হচ্ছে বাস্তবতা।’

তিনি বলেন, ‘লেট আস সিট টুগেদার, ওয়ার্ক টুগেদার এন্ড এ্যাচিভ টুগেদার। বিভিন্ন সেক্টরের লোক একত্রিত হয়ে যে মন্ত্রণালয় এখানে কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারবে সেই মন্ত্রণালয়সহ আরও আমাদের যে সব স্ট্যান্ডিং কমিটি চেয়ারম্যান, মেম্বার এবং বিভিন্ন যেসব উন্নয়ন সংস্থা রয়েছে তাদের সমন্বয়ে একটা সভা যদি করা যায় তাহলে একটি কার্যকরী ফলাফল পাওয়া যেতে পারে ‘

ডেপুটি স্পিকার পরামর্শ দিয়ে বলেন, আমার ব্যক্তিগত মতামত হচ্ছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয় এবং তথ্য মন্ত্রণালয় আপনারা যদি একটা গোলটেবিল বৈঠক করাতে পারেন সেখানে কিন্তু ডিসকাশন করা যেতে পারে। তার সঙ্গে যারা তামাক নিয়ে কাজ করেন ভিন্ন ভিন্ন ফোরাম তাদেরকেও আনা যেতে পারে। তারপর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে এসব সিদ্ধান্ত উপস্থাপন করতে পারলে আমাদের প্রচলিত আইনের কোনও সংশোধন, সংযোজন বা বিয়োজনের প্রয়োজন থাকলে তিনি হয়তো সেটা বিবেচনা করবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখন কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, রংপুর ও পার্বত্য অঞ্চলে তামাকের উৎপাদন কিন্তু কম। এখন তামাকের অল্টারনেটিভ হিসেবে ভুট্টা উৎপাদন হচ্ছে। ভুট্টায় অর্থনৈতিক বেনিফিট বেশি হচ্ছে।’

আসাদ/আমিনুল

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়