পাটকল-চিনিকল চালু রাখার দাবিতে শ্রমিক সমাবেশ

রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল ও চিনিকল চালু রাখা, বদলি শ্রমিকসহ সবার বকেয়া পাওনা পরিশোধ, ব্যক্তিমালিকানার নামে লুটপাট বন্ধ ও পাটচাষি-আখচাষিদের রক্ষার দাবি জানিয়েছে পাট-সুতা ও বস্ত্রকল শ্রমিক-কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদ এবং বাংলাদেশ আখচাষি ও চিনিকল রক্ষা সংগ্রাম পরিষদ।

শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রমিক-কৃষক সমাবেশে এসব দাবি জানানো হয়।

বাংলাদেশ আখচাষি ও চিনিকল রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিলের সভাপতিত্বে ও শ্রমিকনেতা কামরুল আহসানের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ফজলে হোসেন বাদশা এমপি, প্রবীণ শ্রমিকনেতা সহিদুল্লাহ চৌধুরী, খেতমজুর নেতা মোস্তফা লুৎফুলা এমপি, কৃষকনেতা মাহমুদুল হাসান মানিক, শ্রমিকনেতা মো. মছিউদদৌলা, আসলাম খান, খুলনা-যশোর শিল্পাঞ্চলের নেতা হারুন রশিদ মল্লিক, চট্টগ্রামের পাটকল শ্রমিকদের নেতা দিদারুল আলম, নাটোর সুগার মিলের ‌‌শ্রমিকদের নেতা মিজানুর রহমান, সেতাবগঞ্জ চিনিকল শ্রমিকদের নেতা শহীদুল ইসলাম হীরা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রমিকনেতা মোবারক হোসেন, শ্যামপুর চিনিকল রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক আলতাফ হোসেন। ঘোষণা পাঠ করেন চিনিকল ও আখচাষি রক্ষা কমিটির নেতা সুকুমার সরকার।

সমাবেশে শ্রমিকনেতারা অভিযোগ করেন, দেশের স্বার্থ রক্ষা না করে লুটেরাদের স্বার্থে পাটকল-চিনিকল ধ্বংস করা হচ্ছে।

সমাবেশ থেকে পাট ও চিনি শিল্প রক্ষায় আগামী ১৬ মার্চ দেশের সব পাটকল, চিনিকল ও আখচাষ এলাকায় শান্তিপূর্ণ অবস্থান এবং ওই দিন ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংহতি সমাবেশের ঘোষণা দেওয়া হয়।

সমাবেশে সংহতি জানিয়ে সংগীত পরিবেশন করেন উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর শিল্পীরা। এছাড়া, শ্রমিক সংগঠন মিছিল নিয়ে এসে সমাবেশে সংহতি জানায়।

সমাবেশ শেষে বিশাল মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, দোয়েল চত্বর, হাইকোর্ট, তোপখানা রোড হয়ে পুরানা পল্টন মোড়ে এসে শেষ হয়।