ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:০২, ১ মার্চ ২০২১   আপডেট: ১৫:৩৩, ১ মার্চ ২০২১
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও

লেখক মুশতাকের মৃত্যুর ঘটনার বিচার, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলসহ আট নেতাকর্মীর মুক্তির দাবিতে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলোর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে পুলিশ।

সোমবার (১ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে সচিবালয় সংলগ্ন ডিপিডিসি ভবনের সামনে তাদের নেতাকর্মীদের আটকে দেওয়া হয়।

এর আগে দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্য থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার হয়ে বিক্ষোভ মিছিলটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দিকে যাত্রা শুরু করে।  মিছিলটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও দোয়েল চত্বর হয়ে শিক্ষা ভবনের সামনে এলে পুলিশের একটি দল তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে।  পুলিশের সঙ্গে কিছুক্ষণ ধস্তাধস্তির পর বাম সংগঠনের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের দিকে যেতে থাকেন। সচিবালয় সংলগ্ন ডিপিডিসি ভবনের সামনে যাওয়া মাত্রই পুলিশ তাদের নেতাকর্মীদের আটকে দেয়।  এ সময় নেতাকর্মীরা লেখক মুশতাকের মৃত্যুর ঘটনার বিচার এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে শ্লোগান দিতে থাকে।  এক পর্যায়ে পুলিশি বাধার মুখেই তাদের কর্মসূচি শেষ করতে হয়েছে।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের (বাসদ) কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন সাংবাদিকদের জানান, আমরা মুশতাকের মৃত্যুর ঘটনার বিচার চাই। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করে দ্রুত আমাদের নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে হবে। তিনি পুলিশি বাধা সত্ত্বেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি সফল হয়েছে বলেও দাবি করেন।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল এবং কারাগারে মুশতাকের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার সন্ধ্যায় শাহবাগে মশাল মিছিল করতে গেলে পুলিশ বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলোর সাত নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে।

ওই ঘটনায় হওয়া মামলায় বাম ছাত্রসংগঠনের ৭ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। এছাড়া খুলনা থেকে শুক্রবার রাতে গ্রেপ্তার হন বামপন্থী শ্রমিকনেতা রুহুল আমিন। তারা সবাই এখন কারাগারে আছেন।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন মুশতাক আহমেদ।  গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কারাগারের ভেতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত সোয়া আটটার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্ত ও সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে পুলিশ তার মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে। 

নঈমুদ্দীন/সাইফ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়