বন্যপ্রাণি রক্ষায় আন্তরিকভাবে কাজ করছে সরকার: পরিবেশ ও বন মন্ত্রী

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, বন্যপ্রাণি রক্ষায় সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। 

বুধবার (৩ মার্চ) রাজধানীর বন অধিদপ্তরে ‘মানুষ ও পৃথিবী বাঁচাতে: বন ও জীবিকা’ প্রতিপাদ্য ধারণ করে বিশ্ব বন্যপ্রাণি দিবস-২০২১ উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাঘ, হাতি, হরিণ-সহ অন্যান্য বন্যপ্রাণি রক্ষায় সংরক্ষিত ও প্রাকৃতিক বনাঞ্চল হতে গাছ কাটা বন্ধ করা এবং আইন ও বিধিমালা যুগোপযোগীকরণসহ বিভিন্ন কার্যকরী উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

তিনি তার বক্তব্যে হাতি নিধন রোধ ও সুন্দরবন অঞ্চলে কীটনাশক দিয়ে মাছ শিকার বন্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রধান বন সংরক্ষককে নির্দেশনা প্রদান করেন। 

পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণকে জাতীয়ভাবে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে ‘বঙ্গবন্ধু এওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন’ প্রবর্তন করা হয়েছে। বন্যপ্রাণি বিষয়ক অপরাধ নিরসনের লক্ষ্যে ‘অপরাধ উদঘাটনে তথ্য প্রদানকারীকে পুরস্কার প্রদান বিধিমালা, ২০২০’ জারি করা হয়েছে।  অতি সম্প্রতি সরকার ‘মহাবিপন্ন’ শকুন রক্ষায় ‘কিটোপ্রোফেন’ জাতীয় ব্যথানাশক ওষুধের উৎপাদন বন্ধ করে ‘ম্যালোক্সিক্যাম’ নামে একটি ওষুধ ব্যবহারের পরামর্শ প্রদান করেছে। 

তিনি বলেন, প্রায় ১ হাজার ১৬৩ প্রজাতির বৈচিত্র্যময় প্রাণীর আবাসভূমি আমাদের বাংলাদেশ। বিগত ১০০ বছরে আমাদের দেশ থেকে হারিয়ে গেছে ৩১ প্রজাতির বন্যপ্রাণি। আমাদের টিকে থাকার জন্য বন ও বন্যপ্রাণীর অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে বন, বনজ সম্পদ ও প্রাণিকূলকে রক্ষা করতে হবে। 

সভায় সভাপতিত্ব করেন বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপ-মন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার, সচিব জিয়াউল হাসান, এনডিসি, অতিরিক্ত সচিব মাহমুদ হাসান প্রমুখ।

সুন্দরবনে বন ও বন্যপ্রাণি রক্ষায় পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী অনুষ্ঠানে প্রধান বন সংরক্ষকের হাতে ড্রোন তুলে দেন।