ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

সাজেকে বর্ডার হাট করতে একমত বাংলাদেশ-মিজোরাম: বাণিজ্যমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:২৯, ২১ মার্চ ২০২১   আপডেট: ১৭:৩১, ২১ মার্চ ২০২১
সাজেকে বর্ডার হাট করতে একমত বাংলাদেশ-মিজোরাম: বাণিজ্যমন্ত্রী

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বাণিজ্য সম্প্রসারণে রাঙামাটির সাজেক সীমান্তে বর্ডার হাট স্থাপন করতে একমত হয়েছে বাংলাদেশ এবং মিজোরাম। একই সঙ্গে কানেক্টিভিটি বাড়াতে মিজোরাম সাজেকের সড়ক পথ ও রাঙ্গামাটিতে নৌপথের ব্যবহার বাড়াতে আগ্রহী। 

রোববার (২১ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সফররত ভারতের মিজোরাম রাজ্যের স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও বাণিজ্য বিষয়কমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতের সাথে বেশ কয়েকটি বর্ডার হাট চালু আছে।  এবার ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সফরে আরও তিনটি বর্ডার হাট উদ্বোধন করার সিদ্ধান্ত রয়েছে।  সাজেক থেকে মিজোরামের বর্ডারে মাত্র ৩০ মিনিটে যাওয়া যায় এবং রাস্তাও ভালো।  সেখানে বর্ডার হাট করার বিষয়টিকে তারা গুরুত্ব দিচ্ছে। তাদের সঙ্গে আমাদের ৩১৮ কিলোমিটারের যে বর্ডার কানেকশন রয়েছে সেক্ষেত্রে তাদের ব্যবসায়িক সম্পর্ক যাতে উন্নত হয়, যাতে বাণিজ্যিক সুবিধা পায় সে প্রস্তাব দিয়েছে।  প্রধানমন্ত্রী চান যাদের সঙ্গে সীমানা রয়েছে তাদের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়াতে। তারা আমাদের কয়েকটি ফ্যাক্টরি ভিজিট করেছেন। খুব শিগগিরই আমরা বর্ডারে যেতে চেস্টা করবো।

তিনি বলেন, মিজোরাম একটি ব্রিজের কথা বলছে, সেটা করলে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব হবে। তারা কয়েকটি জায়গা দেখিয়েছে রাঙামাটির কথা বলেছে, সেখানে গভীর নদী আছে, কিন্তু ভালো পথ নেই। সাজেকের যে বর্ডারের কথা বলেছে সেখানে ছোট খাল আছে, সেখানে একটি ব্রিজ করলে চিটাগাং পোর্ট তারা ব্যবহার করতে পারবে, এটা তাদের স্বপ্ন।  প্রধানমন্ত্রীও চান ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ভালো থাকুক।

মিজোরাম নিজস্বভাবেই বাণিজ্যিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন,  মিজোরাম থেকে বাঁশ, সেগুন কাঠ, চিঠি, ফল, সিমেন্ট, পাথর আসে। আমাদের থেকে ট্রয়লেট্রিকস, গার্মেন্টস, প্রাণের ফলের রস, মাংস, মাছ, ইলেক্ট্রনিকস, কুকিং অয়েল যাচ্ছে। বর্ডারের কানেকশন বাড়াতে পারলে বাণিজ্য আরও সম্প্রসারিত হবে। 

মিজোরামের বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করলাম।  গতকাল আমরা কয়েকটি ফ্যাক্টরি ভিজিজিট করেছি।  প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রি ভিজিট করেছি, যা খুবই দারুণ।  আমরা চাই মিজোরামে কিছু ফ্যাক্টরি করতে। গার্মেন্টস প্রোডাক্ট দিয়ে বাংলাদেশ সারা বিশ্বে প্রশংসিত। তাদের আয়ের একটি বড় অংশ আসছে এখান থেকে। গার্মেন্টসের মাধ্যমে নারীদের কর্মক্ষেত্র তৈরিতে বিশাল জায়গা তৈরি করেছে বাংলাদেশ। 

তিনি বলেন, মিজোরাম ভারতের মধ্যে অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ রাজ্য। শিক্ষায় কেরালার পর মিজোরাম এগিয়ে রয়েছে। আমরা দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছি। করোনা পরিস্তিতিতে বিশ্বজুড়ে যে সমস্যা তৈরি হয়েছে, তাতে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। করোনায় আমাদের মাত্র ১১ জন মারা গেছে, আমরা করোনা প্রতিরোধে সফলতা দেখিয়েছি। বাংলাদেশ আমাদের খুবই কাছের। আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য প্রসারে খুবই আগ্রহী। 

হাসনাত/সাইফ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়