ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

বাস টার্মিনাল ফাঁকা, কমেছে দূরপাল্লার যাত্রী

হাসিবুল ইসলাম মিথুন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৩৯, ১ এপ্রিল ২০২১   আপডেট: ১৫:৫৭, ১ এপ্রিল ২০২১

সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও এখন বড় সমস্যার নাম করোনাভাইরাস। প্রথম ধাপের পর দ্বিতীয় ধাপে ভাইরাসটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে মানুষের শরীরে।  যে কারণে বেড়ে চলেছে সংক্রমণ। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দেশের গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। 

৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে দেশের গণপরিবহনগুলোকে। এ অবস্থায় দূরপাল্লার পরিবহনে আগের তুলনায় যাত্রীদের চাপ কিছুটা কমেছে। ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধি করে এবং ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলাচল করলেও গতরাত থেকে দূরপাল্লার যাত্রী সংখ্যা কম বলে জানিয়েছে বিভিন্ন পরিবহনের মালিক ও কাউন্টার ম্যানেজার। 

বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) রাজধানীর গাবতলি, কল্যাণপুর, কলাবাগান, শ্যামলীসহ আরও কিছু বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা গেছে, আগের তুলনায় যাত্রী সংখ্যা খুবই কম। সকাল গড়িয়ে দুপুর হয়ে যাওয়ার পরেই যাত্রীদের সংখ্যা কমতে থাকে। 

গাবতলি বাস টার্মিনালের হানিফ এন্টারপ্রাইজের কাউন্টার ম্যানেজার মোহাম্মদ আতিকুল ইসলাম বলেন, করোনার সংক্রমণ বাড়ার কারণে গতকাল থেকে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে বাস চলাচল করছে।  তবে আজ যাত্রীর সংখ্যা কম।  গত কয়েকদিনের তুলনায় আজ অনলাইনেও বাসের টিকিট কম বিক্রি হয়েছে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রী কিছুটা থাকলেও পর্যটন এলাকায় যাত্রী খুবই কম। 

রাজধানীর কলাবাগান এলাকায় ডলফিন পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার মোহাম্মদ রাসেল হোসেন বলেন, করোনার কারণে বাসে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে বাস চলাচল করছে। পর্যটন এলাকায় সব সময়ই যাত্রী বেশি থাকে। কিন্তু করোনার কারণে কিছু কিছু পর্যটন এরিয়া বন্ধ করে দেওয়ায় গতকাল থেকেই যাত্রী কম পাচ্ছি।

কলাবাগান থেকে দেশের বড় বড় বাস কোম্পানিগুলর বাস দেশের পর্যটন অঞ্চলগুলোতে চলাচল করে।  সেখানে কম বেশি সবসময়ই যাত্রীদের ভিড় দেখা গেলেও করোনার স্বাস্থ্যবিধি মানার নির্দেশনার পর থেকে যাত্রীদের আনাগোনা কিছুটা কম দেখা গেছে।  

বাংলাদেশ বাস ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান রমেশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, করোনার কারণে সতর্কতাও জরুরি। বাসের চালক সহকারীসহ যাত্রীদের সুরক্ষার জন্য কার্যকরি  পদক্ষেপের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

বাংলাদেশ বাস পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী আন্তজেলা বাস সার্ভিসের প্রতিটি বাসে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখা হয়েছে, সঙ্গে টিস্যু পেপারও রাখা আছে। যেসব যাত্রী গাড়িতে উঠবে তারা আগে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত জীবাণুমুক্ত করবে। প্রতিটি বাসের সিট জীবাণুমুক্ত রাখতে যতটুকু পরিষ্কার রাখা যায়, ততটুকু ব্যবস্থা করা হচ্ছে। 

হাসিবুল/সাইফ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়