স্বাস্থ্যবিধি মানাতে সোচ্চার পুলিশ
ফাইল ছবি
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ প্রতিরোধে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে কাজ শুরু করেছে পুলিশ। সোমবার (৫ এপ্রিল) সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং, টহল দেওয়া থেকে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে চলাচলরত গাড়ির কাগজপত্র চেক করছিলেন পুলিশ সদস্যরা।
পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি মিডিয়া সোহেল রানা বলেন, সরকারের বেধে দেওয়া স্বাস্থ্যবিধি যেন জনগণ মেনে চলে, সেজন্য পুলিশ তাদের উদ্বুদ্ধ করতে কাজ করছে। ঢাকাসহ সারা দেশে এ কার্যক্রম অব্যাহত আছে।
সরেজমিন মতিঝিল, গুলিস্তান, কাকরাইল, রামপুরা, ফার্মগেট মোহাম্মদপুরসহ আরও কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, এসব স্থানে পুলিশ কাজ করছে। মানুষকে মাস্ক পরা, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার, ঘনঘন হাত ধোয়া অপ্রয়োজনে ঘরে থাকা, সরকারের বেধে দেওয়া নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দোকানপাট বন্ধ রাখা- এসব বিষয়ে কাজ করছে পুলিশ। একই সঙ্গে বিভিন্ন এলাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়কে বসানো হয়েছে অস্থায়ী চেকপোস্ট। এসব পোস্টে সড়কে চলাচলকারী সন্দেহভাজন যানবাহন আটক করেছে পুলিশ। পরে সেটির কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। অনেককেই আবার স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে চলার জন্য পুলিশ সদস্যদের অনুরোধ করতে দেখা গেছে। সড়কে গণপরিবহন নেই।
দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, করোনার প্রথম দিন হওয়ায় আমরা জনগণকে সচেতন- উদ্বুদ্ধ হওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। তারা সরকার বেধে দেওয়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন এমনটাই প্রত্যাশা। তবে তারা যদি স্বাস্থ্যবিধি বা সরকারের ঘোষিত নির্দেশনা অমান্য করে সে ক্ষেত্রে পুলিশ আরও কঠোর হবে।
পল্টন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক রাইজিংবিডিকে বলেন, প্রথম দিন হওয়ায় আমরা মানুষকে টহল এবং মাইকিং এ বুঝিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মানার চেষ্টা করছি। তারা না মানলে প্রয়োজনে আমরা যেকোনো সময় কঠোর অবস্থান নিতে বাধ্য হবো।
মোহাম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল লতিফ জানান, সোমবার সকাল থেকে এলাকাভিত্তিক বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে জনগণকে মুখে মাস্ক ব্যবহারে বাধ্য করার জন্য বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণসহ সচেতনতামূলক নানা কার্যক্রম গ্রহণ করেছি। তবে আমরা এটাও পর্যবেক্ষণে আছি স্বাস্থ্যবিধি না মানলে সেক্ষেত্রে আমাদের কঠোর হওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।
মাকসুদ/সাইফ
আরো পড়ুন