নিউমার্কেটে সকাল-দুপুর বিক্ষোভ, বিকেল শান্ত
রাইজিংবিডি রিপোর্ট || রাইজিংবিডি.কম
বিক্ষোভ করেছেন নিউমার্কেট এলাকার ব্যবসায়ীরা। দ্বিতীয় দিনের মতো সড়কে নেমে মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) মার্কেটের সামনে অবস্থান করে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য দোকান খুলে ব্যবসা চালু রাখার দাবি জানান ব্যবসায়ীরা।
সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত চাঁদনী চক শপিং কমপ্লেক্সের সামনে বিক্ষোভ করেন ব্যবসায়ী ও দোকান মালিকেরা। তবে দুপুরের পর নিউমার্কেট এলাকায় কোনো দোকানপাট খোলা দেখা যায়নি।
নিউমার্কেট এলাকায় গাউছিয়া, চন্দ্রিমা মার্কেট, নুরজাহান মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে বসে আছেন। কিছু কিছু স্থানে ব্যবসায়ী একসাথে মিলে গল্প-গুজব করে সময় কাটাচ্ছেন।
নুরজাহান মার্কেটের ব্যবসায়ী পল্লব কুমার বলেন, আমাদের একটাই দাবি দোকানপাট খুলে দিতে হবে। সামনে রমজান ও ঈদ। পুরো বছরের এই সময়টার অপেক্ষায় থাকি। আমরা দোকানাপাট খুলতে চাই। পরিবার নিয়ে বাঁচতে চাই।
ইকবাল হোসেন নামে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী বলেন, গত বছর এই সময় করোনার কারণে শপিংমল বন্ধ ছিল। গত বছর আমাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। যে ক্ষতি আমরা এখনো পৌঁছাতে পারিনি। সামনে ঈদ। এই ঈদের সময় আমরা কেনাবেচা করে সেই ক্ষতি পোষাতে চাই। সরকার দয়া করে যেন আমাদের কথা ভাবেন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ব্যবসায়ী সমিতি ও গাউসিয়া মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি কামরুল হাসান মুঠোফোনে রাইজিংবিডিকে বলেন, মার্কেট খেলার জন্য আমরা আজ সকালে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছি। আমরা চাই সরকার সীমিত পরিসরে হলেও মার্কেট খুলে দিক।
চাদনীচক বিজনেস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন রাইজিংবিডিকে বলেন, গত বছরের করোনার ধাক্কা সামাল দেওয়াটাই কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বছরের শুরুতে ব্যবসা করে তা পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছিল। কিন্তু এখন ব্যবসা বন্ধ রাখতে গিয়ে আমরা শুধু পথেই বসবো না পরিবার নিয়ে বেঁচে থাকা দায় হয়ে পড়েছে।
নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন বলেন, দোকান বন্ধ থাকলে শুধু নিজের পরিবারই নয়, কর্মচারীরাও না খেয়ে না পড়ে দিন কাটাতে হবে।
রমনা জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ব্যবসায়ীরা বিক্ষোভ করেছেন। তবে তাদের বুঝিয়ে আমরা সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি। একই সঙ্গে তাদের দাবি সরকারের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে পৌঁছানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, সোমবার (৫ এপ্রিল) একই দাবিতে নিউমার্কেটের সামনে ব্যবসায়ীরা দোকান খোলার দাবিতে বিক্ষোভ করেন।
মিথুন/মাকসুদ/সাইফ
আরো পড়ুন