ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

বালাই নেই স্বাস্থ্যবিধির

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৫২, ৬ এপ্রিল ২০২১  
বালাই নেই স্বাস্থ্যবিধির

করোনা সংক্রমণ দ্রুতই বেড়ে চলেছে। এ অবস্থা সংক্রমণ প্রতিরোধে সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার।  তবে এ যেন শুধু নামেই লকডাউন। পাড়া-মহল্লায় অবাধে চলছে মানুষের চলাচল। কারো মুখে নেই মাস্ক। নেই কোনো স্বাস্থ্যবিধির বালাই।

পাড়া মহল্লায় গাদাগাদি করে মানুষজন বাজার করছে। প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে করছে ঘুরাঘুরি।  মূলত সঠিক তদারকির অভাবে এমনটা হচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।  মাস্ক পরার বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকেও বার বার সতর্ক করা হচ্ছে।  কিন্তু কে শোনে কার কথা।

মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) লকডাউনের দ্বিতীয় দিন বিভিন্ন গলিতে ঘুরে দেখা যায়, কারো মুখে মাস্ক নেই। যে যার মতো করে কেনাবেচা করছেন।  স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে খুব বেশি সচেতনতা দেখা যায়নি তাদের মাঝে।

জানতে চাইলে সবজি বিক্রেতা মঞ্জু বলেন, আপনি দেখেন কেউই মাস্ক পরছে না। আমি একা পরে কি করবো। যখন করোনা প্রথম প্রথম আসছিল তখন নিয়মিত পরছি। এখন আর ভালো লাগে না। পরতেও মন চায় না।

সরকার লকডাউন দিয়েছে ও মাস্ক পরার জন্য বিভিন্ন প্রচারণার পরেও কেন মাস্ক পরছেন না এমনটা জানতে চাইলে কলা বিক্রেতা আল আমিন বলেন, আল্লাহ যেদিন নিয়ে যাবে সেদিন চলে যেতে হবে। মাস্ক পরলেও যা, না পরলেও তা। হায়াত মওতের মালিক আল্লাহ।

রাস্তায় মাস্ক ছাড়া ঘোরাফেরা করছিলেন মনির হুসাইন।  জানতে চাইলে তিনি বলেন, সারাদিন বাসায় ছিলাম। বিকেলে বন্ধুরা সবাই বের হত বলল। তাই বের হলাম। চা খেয়ে কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে চলে যাবো।

পান–সিগারেটের দোকানি মো. হোসেন নিজের মাস্ক পকেটে পুরে রেখেছিলেন। মুখে না রাখার কারণ জানতে চাইলে জানান, গরম লাগে। তাই পরি না।

করোনাভাইরাস শনাক্তের ‘জি র‌্যাপিড ডট ব্লট’ কিট উদ্ভাবক ড. বিজন কুমার শীল বলেন, করোনা প্রতিরোধে মাস্কের বিকল্প নেই। সরকারকে মাস্ক রেশনিংয়ের মাধ্যমে দেওয়া  প্রয়োজন। সেই সঙ্গে টিকা ও মানুষের আচরণ পরিবর্তন জরুরি।

ইয়ামিন/সাইফ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়