ভোরের অন্ধকারে অনেকেই ঢাকা ছাড়ছেন
নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম
ভোরের আলো সবেমাত্র ফুটতে শুরু করেছে। চারপাশের মসজিদ থেকে ভেসে আসছে ফজরের আজানের ধ্বনি। আলো আঁধারির মাঝেই যাত্রী খুঁজতে তৎপর হয়ে ওঠে রাজধানীর সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ি, কাজলা এলাকায় কিছু মাইক্রোবাস, অ্যাম্বুলেন্স ও প্রাইভেটকার।
সময় তখন ঠিক ৫ টা। যাত্রীও বেশ মিলছে। যাত্রী বোঝাই করেই কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী অঞ্চলের দিকে ছুটছে এসব যানবাহন।
শনিবার (১০ এপ্রিল) ভোরের চিত্র এটি। দীর্ঘ অপেক্ষার পর বাড়ি যাওয়ার গাড়ি পেয়ে অনেকে স্বস্তি প্রকাশ করলেও তাদের গুনতে হচ্ছে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া।
দেখা যায়, যাত্রীর সংখ্যা খুব বেশি নেই। দূরপাল্লার বড় বাসগুলোও চলছে না। এ সুযোগটাই নিচ্ছে মাইক্রো, প্রাইভেটকার, অ্যাম্বুলেন্সের চালকরা। এই আলো আঁধারি ভোরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা কম। সেই সুযোগটাই কাজে লাগাচ্ছেন এসব চালক ও যাত্রীরা। এসব গাড়িতে আসনসংখ্যা পূরণ করেই যাত্রী নেওয়া হচ্ছে। মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব বা স্বাস্থ্যবিধি।
কাজলা থেকে গাড়ির অপেক্ষায় থাকা সুজন মিয়া নামে একজনের সঙ্গে কথা হয়। সুজন জানান, তার মায়ের অবস্থা ভালো না। বাড়ি যেতেই হবে। সেই মধ্যরাত থেকে গাড়ির অপেক্ষায় আছেন। সামনে যে গাড়ি পান সেটাতে করেই যেতে হবে তাকে। কুমিল্লার পাদুয়া বাজারে সুজনের বাড়ি। ৫০০ টাকা দিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে যাচ্ছেন তিনি।
আরেক যাত্রী কামাল হোসেন জানান, স্ত্রী-সন্তানদের কথা খুব মনে পড়ছে। তাই বাড়ি যাচ্ছি। সামনে আবার কঠোর লকডাউন, তখন তো যেতেই পারবো না। ২০০ টাকার ভাড়া ৫০০ টাকা দিয়েই যেতে হবে।
অ্যাম্বুলেন্সের কর্মচারী মো. ইমরান বলেন, আগের দিন বিকেলে কুমিল্লা থেকে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মাল নিতে এসেছি। কিন্তু মাল পাইনি। খালি অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে ফিরে যাচ্ছি। পথে দেখছি অনেক যাত্রী দাঁড়িয়ে আছে। যারা যেতে চাচ্ছে, তাদের নিয়ে যাচ্ছি। ভাড়া নিচ্ছি ৫০০ টাকা।
স্বাস্থবিধি মানা হচ্ছে কি? জানতে চাইলে বলেন, কেউ কি মানছে স্বাস্থ্যবিধি!
ঢাকা/মামুন/টিপু
আরো পড়ুন