‘শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে বাংলাদেশকে নতুন উচ্চতায় তুলেছেন’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর কূটনৈতিক ধীশক্তি ও দূরদর্শীতার যোগ্য উত্তরাধিকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক কূটনীতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে নতুন উচ্চতায় তুলেছেন।’

রোববার (১৮ এপ্রিল) ফরেন সার্ভিস ডে উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় এ কথা বলেন তিনি। এ বছর বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনের অংশ হিসেবে ফরেন সার্ভিস ডে পালিত হচ্ছে।

ভিডিও বার্তায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশের বৈদেশিক মিশনে কর্মরত সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘শান্তিপূর্ণভাবে বিবাদ মীমাংসা, আঞ্চলিক সংযোগ স্থাপনের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন, জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর নেতৃত্ব নেওয়া, লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়া—এ বিষয়গুলো প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ়তা ও দূরদর্শীতার পরিচয় বহন করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও বাংলাদেশের অনন্ত সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সব কর্মকর্তাকে প্রস্তুত থাকতে হবে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলদেশের অবস্থান ও সংশ্লিষ্টতার কারণে ১৯৭১ সালের মতো দক্ষিণ এশিয়া আবারও সারা বিশ্বে কূটনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।’

ড. মোমেন উল্লেখ করেন, এম হোসেন আলীর নেতৃত্বে কলকাতায় তৎকালীন পাকিস্তান মিশনের ৬৫ জন বাঙালি কর্মকর্তা-কর্মচারী ১৯৭১ সালের ১৮ এপ্রিল স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য স্বীকার করে বিদেশের মাটিতে প্রথম বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন। এর আগে সে বছর ৬ এপ্রিল তৎকালীন পাকিস্তানের দিল্লি দূতাবাস থেকে দুজন কর্মকর্তা কে এম শিহাবুদ্দীন ও আমজাদুল হক বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য স্বীকার করে পদত্যাগ করেন। তাদের সাহস ও দেশপ্রেম অনুসরণ করে দক্ষিণ আমেরিকা ও ইউরোপসহ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে বাঙালি কূটনীতিকরা পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে সরব হন। বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস এসব সাহসী সন্তানদের অনুপ্রেরণার গর্বিত উত্তরাধিকার। সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে শত্রুতা নয়—বঙ্গবন্ধুর এ মূলমন্ত্রকে বাংলাদেশ অনুসরণ করে চলেছে এবং তা গত ৫০ বছর এদেশের কূটনীতিতে সময়োচিত হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।

মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ১৪৭টি শুভেচ্ছা বার্তা ও ৩০টি ভিডিও বার্তা দেওয়ায় আনন্দ প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলদেশকে তুলে ধরার ক্ষেত্রে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ প্রবাসী বাংলদেশির অবদান সশ্রদ্ধ চিত্তে স্মরণ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সব বন্ধু রাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানান ড. মোমেন।