‘চাল ডাল কেনার টাকার জন্য রাস্তায় নেমেছি’
‘ঘরে মা-বাবা আছে, চার ছেলে মেয়ে আছে। প্রতিদিন কাজ করে সংসার চালাতে হয়। লকডাউনে ঘরে থাকলে খাব কি? কেউতো আর খাবার দেবে না? চাল ডাল কেনার টাকার জন্য রাস্তায় নেমেছি’।
করোনার সংক্রমণ রোধে দ্বিতীয় দফা লকডাউনে বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) রাজধানীর রায়েরবাগ এলাকার রিকশাচালক মাহফুজুল ইসলাম এ কথা বলেন।
রাজধানীতে কঠোর লকডাউনে নিম্ন আয়ের মানুষ কাজের সন্ধানে নেমেছেন। লকডাউনে সবকিছু বন্ধ থাকায় সড়কে লোকজন কম, তাদের আয় কিছুটা কমেছে। রিকশাচালক মাহফুজুল ইসলাম বলেন, লকডাউনের আগে প্রতিদিন ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা আয় করতাম। আজ হয়েছে ১০০ টাকা। পুলিশ রাস্তায় দাঁড়াতে দেয় না। তাই আয়ও কম। বাসায় বসে থাকলে তো টাকা আসবে না। বাসা ভাড়া, চাল-ডালের খরচ আছে। তাই রিকশা নিয়া বের হয়েছি।
শনিরআখড়ায় সুজন হালদার বলেন, ছেলের চিকিৎসার জন্য কিস্তি তুলে ছিলাম। সপ্তাহে ৪৫০ টাকা কিস্তি দিতে হয়। এছাড়া, ৪ জনের সংসারের খরচও। রিকশা না চালালে খাবো কী? লকডাউন হলে কী হবে লাইনম্যানকে চাঁদা দিতে হয়।
রায়েরবাগে কথা হয় মিন্টু হোসেন আরেক রিকশাচালক বলেন, স্থানীয় সমিতি থেকে কিস্তি নিয়ে রিকশা কিনেছি। সপ্তাহে ৪২০ টাকা কিস্তি। লকডাউনের কারণে আয় কমে গেছে। রাস্তায় রিকশা থামাতে দিচ্ছে না পুলিশ।
রায়েরবাগ বাসস্ট্যান্ডে দায়িত্বরত ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কদমতলী থানার এস আই রফিক হোসেন বলেন, লকডাউনে জরুরি কাজ ছাড়া সরকারের পক্ষ থেকে বাসায় থাকতে বলা হয়েছে। তবে নিম্ন আয়ের মানুষগুলো রাস্তায় বের হয়েছে। তাদের বুঝিয়ে বাসায় পাঠানো হচ্ছে। যারা অস্বচ্ছল তাদের সহযোগিতা করছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
আসাদ/সাইফ
আরো পড়ুন