তবুও মানুষ ঘুরতে বের হচ্ছেন
রাজধানীজুড়ে ঈদের আমেজ। করোনা মহামারির চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন। ঢাকার বিনোদনকেন্দ্রগুলো সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী বন্ধ থাকলেও হাতিরঝিল, চন্দ্রিমা উদ্যাণ, রবীন্দ্র সরোবর, সোহরাওয়ার্দী উদ্যাণের মতো দর্শনীয় এবং উন্মুক্ত স্থানগুলোতে ঘুরতে যাচ্ছে কর্মচঞ্চলতার ফাঁকে একটু ফুরসত পাওয়া নগরবাসী। তাই বিভিন্ন স্থানে দেখা গেছে গণপরিবহনের পাশাপাশি, রিকশা, সিএনজি অটোরিকশা ও ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ।
ঈদের পরদিন শনিবার (১৫ মে) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সড়কে খুব বেশি গাড়ির উপস্থিতি নেই। তবে দর্শনীয় স্থানগুলোর কাছাকাছি গাড়ির চাপ রয়েছে। বিশেষ করে, ধানমন্ডি, বিজয় স্মরণী, শাহবাগ, রামপুরা, মীরপুর ১ নম্বরে গাড়ির চাপ দেখা গেছে।
দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় এবার ঈদে গ্রামে যেতে পারেনি অনেক রাজধানীবাসী। তাই এবার রাজধানীতে ঈদ করছেন অন্যান্যবারের তুলনায় বেশি মানুষ। তবে ঈদে বিনোদন কেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকায় মানুষজন ঘোরাঘুরি করছেন বিক্ষিপ্তভাবে। এছাড়া অলিগলিতে তরুণদের আড্ডা দিতে দেখা গেছে।
বিনোদন কেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে অনেকে তা জানেন না। তাদের হতাশ হয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে। এমনই একজনের সাথে কথা হয় ঢাকা চিড়িয়াখানার সামনে। পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা রফিকুল ইসলাম নামের একজন বলেন, ‘বাচ্চাদের চিড়িয়াখানায় ঘুরতে আনবো, এই কথা বলেই এবার ঈদের সময় ঢাকায় থেকে গেছি। কিন্তু এখন এসে খুব হতাশ হলাম।’
চন্দ্রিমা উদ্যানের কাছে কথা হয় ব্যক্তিগত গাড়িতে করে পরিবারের লোকজন নিয়ে ঘুরতে বের হওয়া বেসরকারি চাকরিজীবী আবদুর রশিদ নামের একজনের সঙ্গে। তিনি থাকেন রাজধানীর শ্যামলীতে।
আবদুর রশিদ বলেন, ‘ঈদের দিনে নামাজ শেষে খাওয়া দাওয়া করে কিংবা ঈদের পরদিন মানুষ ঘুরতে বের হবে এটা খুব স্বাভাবিক। কিন্তু এবার হয়তো পরিস্থিতি একটু ভিন্ন। কিন্তু ক'দিন পরেই তো আবার কাজের চাপ বেড়ে যাবে। তাই এই অবসর সময়ে পরিবারের লোকজনকে সময় দেওয়া, ঘোরাঘুরি করছে অনেকেই। আমরাও একই ধরনের ভাবনাচিন্তা থেকে বের হয়েছি। কোনো নির্দিষ্ট গন্তব্য নেই। গাড়িতে করেই ঘুরবো, ফাঁকা স্থান পেলে সবাই মিলে গল্প করবো ।’
ঢাকা/হাসান/ইভা
আরো পড়ুন