লকডাউন: অনলাইনে খাবার বিক্রি চলবে
ফাইল ছবি
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে চলমান লকডাউন আরও এক সপ্তাহের জন্য বাড়ানো হয়েছে। ১৬ মে মধ্যরাত থেকে ২৩ মে পর্যন্ত আগের বিধি-নিষেধ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। এ সময় খাবারের দোকান, হোটেল ও রেস্তোরাঁ শুধু অনলাইনে খাদ্য বিক্রি ও সরবরাহ করতে পারবে।
যদিও আগের নির্দেশনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য দোকান পাট ও শপিংমল খোলার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এবার এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু বলা হয়নি। তবে আগের বিধি নিষেধ বহাল রাখার কথা বলা হয়েছে এবারের নির্দেশনায়।
রোববার (১৬ মে) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, সরকারের রাজস্ব আদায়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত সব দপ্তর, সংস্থাসমূহ জরুরি পরিষেবার আওতামুক্ত থাকবে। খাবারের দোকান, হোটেল ও রেস্তোরাঁ কেবল খাদ্য বিক্রয় বা সরবরাহ করতে পারবে।
আগের নির্দেশনা অনুযায়ী শহরে তথা জেলার ভেতরে গণপরিবহন চলাচল করতে পারবে। তবে আগের মতো এক জেলা থেকে অন্য জেলায় গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। তাছাড়া নৌ, ট্রেন লঞ্চও বন্ধ রাখা হয়েছে।
এর আগে শনিবার লকডাউন বাড়ানো সংক্রান্ত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুমোদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাতে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, ঈদে বাড়ি যাওয়া ও ঢাকা ফেরা নিয়ে করোনা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে। এ বিষয়টি মাথায় রেখে আরেক দফা লকডাউন বাড়ানো হয়েছে। এতে আগের শর্তগুলোই বহাল থাকবে।
লকডাউনে ঈদকে সামনে রেখে ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে গত ২৫ এপ্রিল থেকে দোকান ও শপিংমল খুলে দেওয়া হয়। খোলা রয়েছে ব্যাংক। এছাড়া জরুরি কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত অফিসও খোলা রাখা হয়েছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকারের চলমান বিধিনিষেধ রোববার (১৬) মে মধ্যরাতে শেষ হচ্ছে। নতুন করে ১৬ মে মধ্যরাত থেকে ২৩ মধ্যরাত পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানো হয়েছে।
করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সরকার চলতি বছর প্রথমে ৫ এপ্রিল থেকে সাত দিনের জন্য গণপরিবহন চলাচলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি করেছিল। পরে তা আরও দুদিন বাড়ানো হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত আরও কঠোর বিধিনিষেধ দিয়ে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরু হয়। সেটি পরে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। এরপর আবার তা ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়, যা আবার বাড়িয়ে ১৬ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল।
নঈমুদ্দীন/সাইফ
আরো পড়ুন
