লকডাউনে সচিবালয়ের চিত্র
লকডাউনে (১৭ থেকে ২৩ মে ঘোষিত লকডাউনের প্রথমদিন) সচিবালয়ে কর্মব্যস্ততা অন্যান্য দিনের তুলনায় কম।
সোমবার (১৭ মে) সচিবালয় ঘুরে দেখা গেছে, প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে সীমিত পরিসরে কাজ চলছে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অনলাইনে যুক্ত হয়ে কাজ করছেন। মন্ত্রণালয়গুলোর জরুরি সেবা সংশ্লিষ্ট শাখা খোলা রয়েছে।
আজ মন্ত্রিসভার বৈঠক থাকায় খোলা রয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এছাড়া তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ব্রিফিংয়ের পরপরই সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে ঈদ পরবর্তী মতবিনিময় করবেন। এজন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় খোলা রয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, তথ্য অধিদপ্তর (পিআইডি), কৃষি মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, সচিবালয় ক্লিনিকসহ গুরুত্ব মন্ত্রণালয় খোলা রয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, লকডাউনে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রোস্টার করে দায়িত্ব পালন করতে নির্দেশনা রয়েছে। আজ মন্ত্রিসভার বৈঠক থাকায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অফিস করছেন।
পিআইডির (তথ্য অধিদপ্তর) এক কর্মকর্তা বলেন, পিআইডিতে সব কাজ থাকে। তবে লকডাউনের নির্দেশনা অনুযায়ী রোস্টার অনুযায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অফিসে এসেছেন। গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা অনলাইনে যুক্ত হচ্ছেন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (তথ্য ও জনসংযোগ) মীর আকরাম উদ্দীন আহম্মদ বলেন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ব্রিফিংয়ের পরপরই মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে পরবর্তী মতবিনিময় করবেন। এজন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অফিস করছেন।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মাইদুল ইসলাম প্রধান বলেন, লকডাউনের কারণে জরুরি পরিষেবা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অফিস করেছেন। বাকিরা অনলাইনের মাধ্যমে যুক্ত থেকে কাজ করছেন।
উল্লেখ্য, চলতি বছর করোনা সংক্রমণ বাড়ায় গত ৫ এপ্রিল থেকে ‘লকডাউন’ ঘোষণা করা হয়। ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ঢিলেঢালা ‘লকডাউন’ হলেও সংক্রমণ আরও বেড়ে যাওয়ায় ১৪ এপ্রিল থেকে ‘কঠোর লকডাউন’ ঘোষণা করে সরকার। সবশেষ তা ১৬ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এরপর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ আগামী ১৭ মে থেকে ২৩ মে বিধিনিষেধ আরোপ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে।
আসাদ/সাইফ
আরো পড়ুন