ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

ডাক ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৫৯, ২৭ মে ২০২১   আপডেট: ১৫:২৩, ২৭ মে ২০২১
ডাক ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

ডাক অধিদপ্তরের নবনির্মিত সদর দপ্তর ‘ডাক ভবন’ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

বৃহস্পতিবার (২৭ মে) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ‌্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে তিনি রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ডাক বাক্সের আদলে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত নান্দনিক এই ভবনটি উদ্বোধন করেন।

প্রযুক্তি ব‌্যবহারের মাধ‌্যমে ডাক বিভাগকে গ্রাহক সেবা বাড়ানোর আহ্বান জানান প্রধানমমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ডাক বিভাগের সেবা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।’ এই বিভাগের মাধ‌্যমে পচনশীল পণ‌্যও পাঠানোর ব‌্যবস্থা করার তাগিদ দেন তিনি। 

ডাকসেবাকে আধুনিক করার ক্ষেত্রে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপগুলো তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সমগ্র বাংলাদেশের প্রায় পাঁচ হাজার ২২৭টির মতো ডিজিটাল সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেছিলাম। পর্যায়ক্রমে প্রতিটি জায়গায় ডিজিটাল সেন্টার গড়ে তুলি।’

ডাকঘরগুলো যেন আধুনিক করা যায় সেই উদ্যোগ গ্রহণের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল সেন্টার নির্মাণ করায় উদ্যোক্তা মহিলা ও পুরুষদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত নতুনভাবে কাজের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। অনেক ধরনের সেবা সেখান থেকে নিতে পারছেন। ডিজিটাল সেন্টার থেকে সেবা নিচ্ছে এখন ডাকঘর ডিজিটাল সেবা কেন্দ্র থেকে সেবা নিতে পারবে।’

‘ডাকের সিস্টেমতো শুধু ডিজিটালাইজড করা না, এর মাধ্যমে যাতে আরও বেশি করে মানুষের সেবা দেওয়া যায় সেই ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ১১৮টি মেইলগাড়ি যুক্ত করেছি। তাছাড়া গাড়ি চালানোর জন্য নারী-পুরুষদের ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে। এখন মেয়েরাও ট্রেন চালায়’, বলেন প্রধানমন্ত্রী।

পচনশীল পণ্য সেগুলো পাঠানোর জন্য ইতোমধ্যে এয়ারকুলিং সিস্টেম যাতে থাকে, অর্থাৎ কোন তাপমাত্রায় কোন ধরনের ফলমূল তরি-তরকারি বা কোন পণ্য ভালো থাকবে সেই ধরনের গাড়ি কিনে ডাকের মাধ্যমে মানুষ যেন তাদের পণ্য পায় সেই ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অত্যাধুনিক ১৪টি অত্যাধুনিক মেইল প্রসেসিং এবং লজিস্টিক সার্ভিস সেন্টার নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে এটা প্রথমে জেলা এবং বিভাগীয় শহরে করে দিচ্ছি। ডাক বিভাগকে বলবো আপনাদের লক্ষ্য থাকবে, একেবারে উপজেলা থেকে ইউনিয়ন পর্যন্ত অর্থাৎ ডাকঘর যেখানে যেখানে আছে সেখানে যেন এ ধরনের ব্যবস্থা থাকে।

করোনাভাইরাসের পর এখন বেশিরভাগই অনলাইনে ক্রয়-বিক্রয় চলছে উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, পচনশীল জিনিস অর্থাৎ খাদ্যদ্রব্য থেকে শুরু করে ফলমূল তরিতরকারি এগুলো যেন ডাকের মাধ্যমে পাঠানো যায়।

শেখ হাসিনা বলেন, বিভিন্ন দেশের সঙ্গে চুক্তি করছি, ইউনিভার্সাল পোস্টাল ইউনিয়নের রূপরেখার আওতায়। দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হচ্ছে। যেহেতু অনলাইন করায় বিক্রয় জনপ্রিয়তা লাভ করছে, কাজেই ডাকঘর পিছিয়ে থাকলে চলবে না। ডাক বিভাগকে এ বিষয়ে আরও দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

ডাক বিভাগের আধুনিক ভবনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এখন আধুনিক সুন্দর ভবন হয়ে গেলো। ইতোমধ্যে ৩৮টি মডেল ডাকঘর নির্মাণকাজের হাতে নিয়েছি।’

‘আমি চাইবো সারা বাংলাদেশে এটা করে দিতে, তাহলে মানুষ বিশেষ করে ঘরে বসে অনেকে কাজ করে পয়সা উপার্জন করতে পারবে। মানুষের কর্মসংস্থান যেমন হবে মানুষ সেবাটাও পাবে। সেই ব্যবস্থাটা আমাদের করতে হবে।”

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২০ মার্চ একনেক সভায় ডাক ভবন নির্মাণ প্রকল্পটি অনুমোদন পায়। পৌনে এক একর জায়গার ওপর ৯১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ডাক বিভাগের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহারের জন্য ভবনটি তৈরি করা হয়েছে। নবনির্মিত ডাক ভবনটিতে সুসজ্জিত ও সমৃদ্ধ লাইব্রেরি, আধুনিক পোস্টাল মিউজিয়াম, সুপরিসর অডিটরিয়াম, ক্যাফেটেরিয়া, ডে-কেয়ার সেন্টার, মেডিক্যাল সুবিধা, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা এবং সার্বক্ষণিক ওয়াইফাইসহ অন্যান্য তথ্যপ্রযুক্তিগত সুবিধা রাখা হয়েছে। 

পারভেজ/হাসিবুল/ইভা 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়