কোটি টাকার গবেষণা ও পরীক্ষাগার কাদের জন্য, প্রশ্ন তুলেছেন এফবিসিসিআই সভাপতি
ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সরকারের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে আলাপ-আলোচনা শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে আমাদের (ব্যবসায়ীদের) প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রয়োজন রয়েছে। এই বিষয়ে আমি বলতে শুরু করেছি এবং বলতে থাকবো।’
তিনি বলেন, দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বিশ্বমানের যেসব প্রয়োজনীয় পরীক্ষাগার দরকার তা অনেক ক্ষেত্রেই নেই। আর যেগুলো আছে তা ব্যবসায়ীদের প্রয়োজন মেটাতে পারছে না। এজন্য সরকারের লক্ষ্য অর্জনে বাধা তৈরি হচ্ছে। এর সমাধানে সরকারি বেসরকারি খাতের সব স্টেকহোল্ডারদের একযোগে কাজ করতে হবে।
রোববার (২০ জুন) মতিঝিল ফেডারেশন ভবনে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি মুরসালিন নোমানী ও সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল এফবিসিসিআই সভাপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে। সাংবাদিক নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই মন্তব্য করেন।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘শত শত কোটি টাকা খরচ করে দেশে গবেষণা ও পরীক্ষাগার (ল্যাব) তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু এটি কাদের জন্য করা হয়েছে, উদ্দেশ্য কি? এ থেকে কতজন উপকৃত হতে পারবে বা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এর গ্রহণ যোগ্যতা কতটুকু রয়েছে তার কোন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না।
তিনি বলেন, অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, সরকারি কর্মকর্তারা বিদেশে গবেষণা কাজে যাচ্ছেন। দেশে ফিরে সেই গবেষণার ফলাফল আর প্রকাশ হয় না। তাহলে কেন টাকা খরচ করা হচ্ছে? গবেষকরা দেশে এসে তার অভিজ্ঞতা ফাইলবন্ধি করে রাখছেন। তার কোন প্রয়োগ দেখা যাচ্ছে না!
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠনের এই নেতা বলেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতে আমরা প্রতিযোগি দেশের তুলনায় পিছিয়ে আছি। অনেকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কথা বলছেন, কিন্তু এর আগে এসএমই খাতে বিশ্বের যে উত্থান হয়েছে, তা থেকেও আমরা পিছিয়ে আছি। এখন প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে এই খাতকে কার্যকরী নীতি সহায়তা দিতে হবে।
আলোচনায় সাংবাদিক নেতারা এফিবিসিসিআই সভাপতিকে ‘ডিআরইউ মিট দ্যা প্রেস’ অনুষ্ঠানে আসার আমন্ত্রণ জানান এবং সংগঠনের কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন।
এফবিসিসিআই সভাপতি প্রস্তাবিত বাজেট সংসদে পাস হওয়ার আগেই ‘ডিআরইউ'র মিট দ্যা প্রেস’ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সম্মতি জানান।
ঢাকা/শিশির/এমএম
আরো পড়ুন