ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

সিপিসি’র শততম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৫৫, ১ জুলাই ২০২১  
সিপিসি’র শততম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা

কমিউনিস্ট পার্টি অব চায়নার (সিপিসি) শততম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে চীনের জনগণ এবং দেশটির প্রেসিডেন্ট ও সিপিসি’র মহাসচিব শি জিনপিংকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে পারস্পরিক স্বার্থে আওয়ামী লীগ ও সিপিসির মধ্যে বৃহত্তর সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) পাঠানো এক শুভেচ্ছা বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমি বিশ্বাস করি যে, আমাদের দুই দলের মধ্যে ব্যাপক সহযোগিতা আমাদের দুই দেশের নাগরিকদের অধিকতর কল্যাণ বয়ে আনবে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, অভিন্ন মূল্যবোধ ও জাতীয় মৌলিক স্বার্থের ভিত্তিতে চমৎকার সৌহার্দ‌্যপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজ করছে।’

বাংলাদেশ তার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে চীনকে বিশ্বস্ত অংশীদার বলে মনে করে বলে জানান শেখ হাসিনা। সম্প্রতি সিপিসি’র পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগকে ভ্যাকসিন ও চিকিৎসা সরঞ্জাম উপহার দেওয়াসহ করোনা মহামারিকালে চীন বাংলাদেশকে যে সহযোগিতা ও সহায়তা দিয়েছে তা উল্লেখ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বিদ্যমান কৌশলগত অংশীদারত্বকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য নতুন নতুন পথ খুঁজছি। পাশাপাশি, আমরা শান্তি, নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের মতো আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ইস্যু নিয়েও কাজ করছি।’

তিনি বলেন, ‘আমি এ ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী যে, আমাদের দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান আন্তরিক ও হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক আগামী দিনগুলোতে আরও জোরদার হবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে এবং সরকার ও বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে আপনাকে (চীনের প্রেসিডেন্ট ও সিপিসি’র মহাসচিব শি জিনপিং) এবং আপনার মাধ্যমে চীন সরকার, সিপিসির সদস্যবৃন্দ ও চীনের বন্ধু-প্রতিম জনগণকে আমাদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন জানাচ্ছি।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি কয়েক দশকে বেশ কয়েকজন সিপিসি নেতার বাংলাদেশ-চীন এবং সিপিসি-আওয়ামী লীগের সম্পর্ক উন্নয়নে অবদানের কথা তুলে ধরে তাদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।  

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘সাউদার্ন সিল্ক রুটের মধ্য দিয়ে দুই দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে, যা দুটি প্রাচীন সভ্যতার মধ্যে জ্ঞান, সংস্কৃতি ও বাণিজ্যের দুয়ার খুলে দিয়েছে।’

১৯৫২ ও ১৯৫৭ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চীন সফরের বিষয়টি তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের একজন তরুণ নেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধু তৎকালীন সিপিসি নেতাদের সঙ্গে মতামত ও দৃষ্টিভঙ্গি বিনিময়ের সুযোগ করে দিয়েছিলেন।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু তার বই ‘‘আমার দেখা নয়াচীন-১৯৫২’’ এ সিপিসির নেতৃত্বে চীনকে একটি সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চীনের জনগণের প্রবল উদ্যম, কঠোর প্রত্যয় ও দৃঢ় প্রতিজ্ঞ মনোভাবের প্রশংসা করেছেন।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বিচক্ষণ নেতৃত্ব ও কমিউনিস্ট পার্টি অব চায়নার নির্দেশনায় চীনের বন্ধু-প্রতিম জনগণের সুস্বাস্থ্য, শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নতি কামনা করেন।

পারভেজ/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়