মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল ভাড়ায় আরিচা, তারপর নদী পার.. বাড়ি!
গ্রামে ছুটছে মানুষ। ছবিটি আমিনবাজার থেকে তোলা (ছবি: হাসিবুল মিথুন)
মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশে চলছে কঠোর লকডাউন। কিন্তু এই লকডাউনের মধ্যেও রাজধানী থেকে প্রায় প্রতিদিনই গ্রামের বাড়িতে ছুটছেন হাজারো মানুষ।
বাস নেই। ফেরি পারাপারের ব্যবস্থা নেই। অনিশ্চিত যাত্রা জেনেও থেমে নেই মানুষ। সোমবার (১২ জুলাই) রাজধানীর গাবতলী বাস কাউন্টার সংলগ্ন আমিনবাজার এলাকায় গিয়ে এই দৃশ্য দেখা গেছে।
আমিনবাজার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, দূরপাল্লার পরিবহনসহ সব ধরনের যাত্রীবাহী পরিবহন বন্ধ থাকায় মানুষ রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রিকশায় চড়ে আমিনবাজার এলাকায় হাজির হচ্ছেন। কঠোর লকডাউন থাকলেও সবকিছু উপেক্ষা করেই ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে ঢাকা ছাড়ছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
খুলনা যাবেন বলে আমিনবাজার এসেছেন মোহাম্মদ ইউসুফ হোসেন। তিনি বলেন, কোরবানি ঈদের বাকি আর কিছুদিন। লকডাউনের কারণে রোজার ঈদের সময়ে বাড়ি যাইনি। তাই এই ঈদে পরিবারের সাথে ঈদ করতে আগেভাগেই বাড়ি চলে যাচ্ছি। কিন্তু সরকারের কড়াকড়িতে ভোগান্তি হচ্ছে। আমি উত্তরা থেকে রিকশায় ভেঙে ভেঙে এই পর্যন্ত এসেছি। ভাড়া গুনতে হয়েছে কয়েকগুন।
লকডাউনের মধ্যে কীভাবে খুলনা যাবেন- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গতকাল আমার এক পরিচিত বন্ধু বাগেরহাট গেছেন। তিনি বলেছেন আমিনবাজার থেকে আরিচা ঘাট পর্যন্ত প্রাইভেটকার বা মাইক্রোবাস যায়। নদী পার হলেই ওপাড় থেকেই একই সুবিধা পাওয়া যাবে। এই কথা শুনে আমিও আজ রওনা দিলাম। এখন আল্লাহ ভরসা। কোনভাবে গিয়ে পৌঁছাতে পারলেই হলো।
আরেক যাত্রী যাবেন রংপুর। তিনি বলেন, অন্যসময় ঈদের আগে রাজধানীর গাবতলী বাস স্ট্যান্ডে বেশ ভিড় থাকতো, কিন্তু এবার লকডাউনে একেবারেই ফাঁকা। তবে আমিন বাজার ব্রিজ পার হলে বেশকিছু প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস আছে। এগুলোতেই করে চলে যাবো।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সরকারের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলে চেপেই যাত্রীরা যাচ্ছেন আরিচা-পাটুরিয়া ঘাটের দিকে। প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসে জনপ্রতি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা। মোটরসাইকেলে জনপ্রতি ভাড়া ১২০০ টাকা।
এ প্রসঙ্গে গাবতলী ট্রাফিক সিগন্যালের পুলিশের দায়িত্বরত কর্মকর্তা মো. মাহবুব বলেন, গাবতলী থেকে আমরা কাউকে ছাড়ছি না। একেবারে জরুরি ছাড়া কাউকে গাবতলীর বাইরে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।
/হাসিবুল/এমএম/
আরো পড়ুন