ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

কমলাপুর রেল স্টেশনে মানুষের ঢল

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৪১, ২০ জুলাই ২০২১   আপডেট: ১১:৫২, ২০ জুলাই ২০২১

ঈদুল আজহা উদযাপন করতে বাড়ি ফিরছেন ঘরমুখো মানুষ। স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে ঈদের আগের দিন রাজধানী ছাড়ছে লাখ লাখ মানুষ।

মঙ্গলবার (২০ জুলাই) কমলাপুর রেল স্টেশনে ঢাকা ছেড়ে যাওয়া মানুষের ঢল নেমেছে। লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়েছে স্টেশন। যাত্রীদের চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এবার যাত্রীদের ভোগান্তি অনেকটাই কমেছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে এবার অনলাইনে টিকিট দেওয়া হয়েছে।  ফলে যারা টিকিট কিনেছেন কেবল মাত্র তারাই স্টেশনে এসে নির্ধারিত ট্রেনের যাত্রা করতে পারছেন। যারা অনলাইনে টিকিট পাননি, তাদের স্টেশনে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।  আর দুইটি সিটে কেবল মাত্র একজন যাত্রীকে বসতে দেওয়া হচ্ছে।  এ কাজটি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার (২০ জুলাই) সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ঈদুল আজহা উদযাপন করতে বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে আসা যাত্রীদের থার্মাল স্ক্যানারে তাপমাত্রা মেপে সারিবদ্ধভাবে স্টেশনে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে।  স্টেশনে ঢোকার প্রধান ফটক থেকে শুরু করে বেশ কয়েকটি স্তরে এ যাচাই-বাছাই কার্যক্রম পরিচালনা করছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এজন্য স্টেশনে প্রবেশদ্বারে মানুষের বেশ জটলা দেখা গেছে।

জানা গেছে, মঙ্গলবার ভোর ৪টা ৪৫মিনিটে কমলাপুর স্টেশন ছেড়ে গেছে।  এদিকে সকালে সিলেটগামী পারাবত এক্সপ্রেস ৬টা ২০মিনিটে ছেড়ে যায়। এরপর নীলসাগর, সোনার বাংলা, তিস্তা, মহানগর প্রভাতি যথাসময়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে যায়। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত রংপুর এক্সপ্রেস সকাল ৯টা ১০ মিনিটে যথাসময়ে রংপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে।

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার রাইজিংবিডিকে বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ঈদে সামনে রেখে নিরাপদ রেল ভ্রমণ উপহার দিতে কাজ করে যাচ্ছি। গত তিনদিন ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় ঘটেনি। সময়মতো ট্রেন স্টেশনে আসছে, স্টেশন ছেড়ে যাচ্ছে। টিকিট ছাড়া স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে যাত্রীকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এছাড়া যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রীদের স্টেশনে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে।

খুলনা এক্সপ্রেস ট্রেনের দায়িত্বর এটেনডেন্ট মো. মুন্না রাইজিংবিডিকে বলেন, ট্রেনে অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়া হচ্ছে না। দুটি সিটের মধ্যে কেবল মাত্র একটি সিটে যাত্রীদের বসতে দেওয়া হচ্ছে। তবে পরিবারের সদস্য হলে দুই সিট দুজন জন বসছেন।

/এনটি/এসবি/

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়