বর্জ্য ব্যাগে ভরে স্থানান্তর কেন্দ্রে রেখে আসার আহ্বান

কোরবানির পশুর বর্জ‌্য ব‌্যাগে ভরে নিকটবর্তী স্থানান্তর কেন্দ্রে রেখে আসতে নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) দুপুরে নগর ভবনের শীতলক্ষ্যা হলে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ আহ্বান তিনি।

ডিএসসিসির মেয়র বলেন, ‘তিন দিন ধরে (২০ তারিখ রাত থেকে) আমাদের জনবল কাজ করছে। আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একটানা কাজ করছেন। বাস্তবতা হলো—আমরা একদিকে বর্জ্য অপসারণ করে আসি, এরপর লোকজন আবারও উন্মুক্ত স্থানে বর্জ্য ফেলে আসে। তাই শতভাগ বর্জ্য অপসারণের পরও কিছু কিছু জায়গায় আবারও বর্জ্য দেখা যায়। সেটা প্রত্যাশিত নয়। আমরা জনগণকে আমাদের এই বিশাল কর্মযজ্ঞে সহযোগিতার আহ্বান জানাই। আমরা যে ব্যাগ সরবরাহ করেছি, দয়া করে তা সংগ্রহ করুন। বর্জ‌্য সেই ব্যাগে ভরে আমাদের বর্জ্য সংগ্রহকারীদের কাছে হস্তান্তর করুন। উন্মুক্ত স্থানে বর্জ্য ফেলবেন না।’

মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীরা অনেক জায়গায় চামড়া ফেলে যাচ্ছেন, জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘মৌসুমি ব্যবসায়ীরা চামড়া সংগ্রহ করেছেন। সে চামড়াগুলো হয়তো তারা বিক্রি করতে পারেননি। আজ সকাল থেকে আমরা লক্ষ করছি, বিভিন্ন জায়গায় আমাদের নর্দমার সামনে, নর্দমার মুখে তারা সেই চামড়াগুলো ফেলে গেছেন। এটা অত্যন্ত গর্হিত কাজ। আমি বারবার নিবেদন করেছি, কোনোভাবেই যেন আমাদের নালা-নর্দমাগুলো বন্ধ করা না হয়, এখানে বর্জ্য ফেলা না হয়। কারণ, এখনো বর্ষাকাল। এই বর্জ্য দ্বারা কোনো নালা-নর্দমা যেন বন্ধ না হয়ে যায়।’

গতকালের বর্জ্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দুপুর ২টার মধ্যে গতকালের পশুর বর্জ্য শতভাগ অপসারিত হয়েছে। কিন্তু দ্বিতীয় দিনেও প্রায় ৩০ শতাংশ কোরবানি দেওয়া হয়। আজ যেসব পশু জবাই করা হবে, সেসব পশুর বর্জ্য আমরা আগামী ১০ ঘণ্টার মধ্যে অর্থাৎ রাত ১২টার মধ্যে অপসারণ করব।’

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত প্রায় ৮ হাজার টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএসসিসির মেয়র।

সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে অন্যান্যের মধ্যে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন, সচিব আকরামুজ্জামান, পরিবহন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক বিপুল চন্দ্র বিশ্বাস, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. জাফর আহমেদ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনিছুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।