কর্মমুখী মানুষের ভিড় বাড়ছে গাবতলীতে
গার্মেন্টসহ রপ্তানিমুখী শিল্প-কারখানার শ্রমিকদের কর্মস্থলে ফেরার সুবিধার্থে আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে গণপরিবহন চালুর সিদ্ধান্ত দিয়েছে সরকার। যার ফলে রাজধানীতে ফেরা মানুষের ভিড় বাড়ছে গাবতলীতে।
রোববার (১ আগস্ট) গাবতলি এলাকা ঘুরে এমনই চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, কর্মমুখী মানুষ যেভবে পারছে সেভাবেই রাজধানীতে ঢুকছে। কেউ পিকআপ, কেউ বাসে, কেউ বা মোটরসাইকেলে আবার কেউ কেউ পায়ে হেঁটেই গাবতলী দিয়ে রাজধানীতে প্রবেশ করছে।
আক্কাস আলী নামের এক পোশাক শ্রমিক এসেছেন বাগেরহাট থেকে। তিনি রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘গতকাল সন্ধ্যয় বাসা থেকে রওনা দিয়েছি। খুব কষ্ট করে ঢাকা এসে পৌঁছালাম। বাসায় গিয়ে ব্যাগটা রেখেই অফিসে যাবো।’
খুলনা থেকে থেকে মালেক হোসেন নামের এক কর্মজীবী পিকাপে করে এসেছেন গাবতলীতে। তিনি বলেন, ‘গতকাল রাত ১০টায় বাড়ি থেকে রওনা দিয়ে আজ সকাল ৮টায় পৌঁছালাম। ভালোভাবে আসতে পেরেছি এতেই শুকরিয়া। তবে এইসব সিদ্ধান্ত সরকার আগে থেকে নিতে পারলে ভালো হতো। সরকারের হুটহাট সিদ্ধান্তে আমাদের মতো সাধারণ মানুষের যত ভোগান্তি হয়।’
এর আগে, গতকাল শনিবার (৩১ জুলাই) সরকারি এক তথ্যবিবরণীতে এসব তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, রপ্তানিমুখী শিল্পের শ্রমিক ও সংশ্লিষ্টদের কাজে যোগদানের সুবিধার্থে ১ আগস্ট দুপুর ১২টা পর্যন্ত গণপরিবহন চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) জানায়, রোববার দুপুর ১২টা পর্যন্ত দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সব জেলায় এবং শিমুলিয়া-বাংলাবাজার, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলবে। শ্রমিকদের সুবিধার্থে বাস ও লঞ্চ চালু হলেও ট্রেন চালুর বিষয়ে রাজি নয় বাংলাদেশ রেলওয়ে।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার ফের গত ২৩ জুলাই থেকে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে, যা চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। বিধিনিষেধ চলাকালে দেশের সব শিল্প-কারখানা বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। তবে বিধিনিষেধ শুরুর পর থেকেই কারখানা খোলার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে আসছিলেন শিল্প-কারখানার মালিকরা। ওই দাবির পরিপ্রেক্ষিতেই গার্মেন্টসসহ রপ্তানিমুখী শিল্প-কারখানা স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলার সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
ঢাকা/হাসিবুল/বুলাকী
আরো পড়ুন