ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

‘সময়োচিত রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহযোগিতা করেছেন বঙ্গমাতা’  

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:০৮, ৮ আগস্ট ২০২১   আপডেট: ১৬:২৪, ৮ আগস্ট ২০২১
‘সময়োচিত রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহযোগিতা করেছেন বঙ্গমাতা’  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সংসার সামলাবার পাশাপাশি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের অনেক সময়োচিত রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে বঙ্গমাতার পরামর্শ আন্দোলন সংগ্রামে গতির সঞ্চার করেছিল।

রোববার (৮ আগস্ট) বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা পদক-২০২১ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার মা একদিকে সংসার সামলেছেন অপরদিকে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তগুলো সঠিক সময়ে যাতে হয় তার ব্যবস্থা করেছেন। আন্দোলন সংগ্রামে এই দলকে বিশেষ করে আওয়ামী লীগ এবং ছাত্রলীগ যেন সবমময় সঠিক পথে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে যাতে চলতে পারে সেই নির্দেশনা দিয়েছেন।’

‘সমস্ত তথ্য বাবার কাছে পৌঁছে দেওয়া এবং জেলখানায় থাকা বাবার কাছ থেকে সিদ্ধান্তগুলো নিয়ে এসে দলের নেতা-কর্মীদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার মত কাজগুলো তিনি গোপনে করেছেন। এভাবেই তিনি তার পুরো জীবনটাকে উৎসর্গ করেন আমার বাবার যে আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করেন সেই আদর্শের কাছে’, বলেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘কখনও রাজনৈতিক নেতা হতে হবে, রাজনীতি করে কিছু পেতে হবে সে চিন্তা তার (বঙ্গমাতার) ছিল না। কোনো সম্পদের প্রতিও তার কোনো আগ্রহ ছিল না। এভাবেই নিজের জীবনকে তিনি গড়ে তুলেছিলেন। আর সবশেষে আপনারা দেখেছেন মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আমার মা খুনীদের কাছে নিজের জীবন ভিক্ষা চান নাই। তিনি নিজে জীবন দিয়ে গেছেন।’ 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘জাতির পিতার সিঁড়িতে পড়ে থাকা মৃতদেহ দেখে সোজা বলে দিয়েছেন-‘তোমরা ওনাকে মেরেছ, আমাকেও মেরে ফেলো।’ খুনিরা বলেছিল আমাদের সঙ্গে চলেন, ‘তোমাদের সঙ্গে আমি যাব না, তোমরা এখানেই আমাকে খুন করো,’ খুনিদের বলে দেন তিনি।’’

‘ঘাতকের বন্দুক গর্জে উঠেছিল, সেখানেই আমার মা’কে তারা নির্মমভাবে হত্যা করে,’ বলেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘কতটা সাহস একটা মানুষের মনে থাকলে সে মানুষটা মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে জীবন ভিক্ষা না নিয়ে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে পারেন। আজকে আমাদের দেশের নারী সমাজ যে একটা জায়গা খুঁজে পেয়েছে সেখানে আমি মনে করি, আমার মায়ের এই কাহিনী শুনলে অনেকেই অনুপ্রেরণা পাবে। শক্তি ও সাহস পাবে দেশের জন্য, জাতির মঙ্গলে কাজ করতে।’

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেছা ইন্দিরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব সায়েদুল ইসলাম স্বাগত ভাষণ দেন।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে পাঁচ নারীকে  ‘বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক-২০২১’ তুলে দেন। রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া, সমাজসেবা, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ, গবেষণা, কৃষি ও পল্লী উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ও গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকার জন্য এ বছর তাদের এই পদক দেওয়া হয়।

 

ঢাকা/পারভেজ/ইভা 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়